নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের খু*নির জামিনের বিরোধিতায় হাইকোর্টে পরিবার, সুপ্রিম কোর্টে পুলিশ

0
1

বাড়ির অদূরে এক দুষ্কৃতীর গুলিতে খু*ন করা হয়েছিলেন পানিহাটির (Panihati) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জনপ্রিয় তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত (Anupam Dutta)। পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিল শ্যুটার অমিত পণ্ডিত। স্থানীয়দের চেষ্টায় ঘটনার রাতেই গ্রেফতার হয়েছিল খু*নি অমিতকে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ অমিতের আত্মীয় প্রসেনজিত পণ্ডিত (Prosenjit Pandit) ওরফে বাপি পণ্ডিত সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। সোমবার অনুপম দত্ত (Anupam Dutta) খুনে অভিযুক্ত বাপি পণ্ডিত কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) নির্দেশে জামিন পেলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পডে়। জামিনের (Bail) খবর চাউর হতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। বি টি রোড অবরোধ করে রাতভর চলে প্রতিবাদ। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, মামলা সাজানোয় পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলেই এমনটা ঘটেছে। এদিকে স্বামীর খু*নে মূল অভিযুক্তের জামিনের খবর কানে আসে প্রয়াত অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষীর। এমন ঘটনা মেনে নিতে না পেরে মেয়েকে নিয়ে ঘরে ঢুকে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী৷

এবার সঠিক বিচার চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের পরিবার। অনুপম দত্তর (Anupam Dutta) পরিবারের লোক জানিয়েছেন, “ওরা আমাদের কোলের সন্তান ছিনিয়ে নিয়েছে, আমাদের সন্তানকে যারা এরকম করেছে তারা যেন কোনওভাবে ছাড়া না পায়। কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি চাই আমরা।”

অন্যদিকে, জামিনের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যাচ্ছে ব্যারাকপুর কমিশনারেটও। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের দাবি, নিয়ম মাফিক যা যা করা উচিত তা তাঁরা সবই করেছেন এবং সিজার লিস্টও জমা দিয়েছেন। তারপরেও অভিযুক্ত ছাড়া পেয়ে যাওয়ায় সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে তারা। গত ১৩ মার্চ বাড়ির কিছুটা দূরে, আগরপাড়া স্টেশন রোডে দুষ্কৃতী অমিত পণ্ডিত একেবারে সামনে থেকে অনুপমকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলরের। রাতেই এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় ওই দুষ্কৃতী। তদন্তে নেমে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, খুনের অমিতকে সুপারি দিয়েছিল বাপি। এমনকি, আগেই অন্য এক দুষ্কৃতীকে সুপারি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে কাজটি না করায় পুর ভোটের পরেই অমিতকে কাজে লাগায় বাপি। ঘটনার পর থেকেই অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী ও পরিজনেরা দাবি করেছিলেন, দোষীদের চরম শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু মূল অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পাওয়ার এলাকাবাসীর ক্ষোভ চরমে উঠেছে।