গরুপাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর এখন জেল হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। আদালতের কাছে সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রত ও তাঁর কন্যার নামে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, একইসঙ্গে তিনি প্রভাবশালী। এরই এই নাটকীয় একটি ঘটনা নিয়ে তুমুল আলোড়ন পড়ে যায়।

অনুব্রত মামলার বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয়, অনুব্রতকে জামিন না দিলে বিচারকের পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে। এমন ঘটনায় তোলপাড় শুরু হতেই অনুব্রত নিয়ে হুমকি চিঠির ইস্যুতে সিবিআই তদন্ত দাবি করেন। যদিও আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তী জানিয়ে দেন, মূল মামলার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। এরপর হুমকি চিঠির ঘটনায় তদন্তে নেমে মাঝরাতে গ্রেফতার করা হয় বর্ধমানের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়কে। আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার করে। যদিও আইনজীবীর পরিবারের দাবি ফাঁসানো হচ্ছে সুদীপ্তকে।
গত ২০ আগস্ট আচমকা হুমকি চিঠি যায় অনুব্রত মামলার বিচারকের কাছে। অভিযোগ বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে হুমকি চিঠিতে বলা হয়েছিল, অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিতে হবে, অন্যথায় মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বিচারকের পরিবারের সকলকে। এই হুমকি চিঠির ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল সব মহলে।
ঘটনার তদন্ত চেয়ে আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপরই উঠে আসে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে এক আদালত কর্মীর। শুরু থেকেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন বাপ্পা। তাঁকে কেউ বা কারা ফাঁসাচ্ছে বলেই দাবি করেছিলেন তিনি।

বাপ্পাকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে পুলিশের তরফে বর্ধমানের আইনজীবী সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্তকে। আটক করা হয়েছে তাঁর সহযোগিকেও। জানা গিয়েছে, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের সই এবং আদালতের স্ট্যাম্প নকল করেছিলেন সুদীপ্ত। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় আসানসোল দক্ষিণ এবং বর্ধমানের পুলিশ, টানা তল্লাশির পর, তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর কথাই সত্যি হল, অভিষেককে সমন পাঠাল ইডি















































































































































