২১এর বিধানসভা নির্বাচনে তো বটেই,এমনকী পুরসভার ভোট ও উপনির্বাচনেও বারবার বাংলার মানুষের কাছে প্রত্যাখিত হয়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় দলকে নতুন করে অক্সিজেন দিতে বাংলার গেরুয়া শিবির টানা ৩ দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে পাঠশালার প্রশিক্ষণ। কিন্তু সেখানেও বিতর্ক! গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই শিবিরে অনুপস্থিত ৩ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। যা নিয়ে রাজ্য–বিজেপির অন্দরে তুমুল আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। দলের নির্দেশ অমান্য করে কলকাতার প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত থাকায় তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের কাছে এ ব্যাপারে জবাব চায় বঙ্গ বিজেপি। অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে তাদের কৈফিয়ত তলব করা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:আজ থেকে শুরু বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির, খরচ ২ কোটি টাকা
তেইশে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলকে সংঘবদ্ধ করতে মরিয়া বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বি এল সন্তোষ এবং সুনীল বনশলের নেতৃত্বে চলছে ক্লাস। কিন্তু প্রশিক্ষণ শিবিরে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি যখন বাধ্যতামূলক, তখন পাঠশালার প্রথম দিনই তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা ও নিশীথ প্রামাণিক ছিলেন না। এই গরহাজির ছিলেন ডা. সুভাষ সরকার। এমনকী আরও তিনজন সাংসদ সেখানে যাননি। এই নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে সুকান্ত মজুমদার–সহ বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের।যদিও এই নিয়ে মুখ খোলেননি বিজেপি।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে শিবির। যা চলবে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। আজ পাঠশালার দ্বিতীয় দিন। এলাহি আয়োজন রয়েছে এই শিবিরে। মনে হবে যেন কোনও শিল্পপতির মেয়ের বিয়ে। প্রশিক্ষণ শিবিরের জন্য ১৫০টি কটেজের মধ্যে কয়েক হাজার টাকার বিলাসবহুল বাংলো বুক করা হয়েছে। জেলানেতারা একটি বিলাসবহুল ঘরে দু’জন। আবার সিনিয়র নেতাদের জন্য দোতলা কটেজের পুরো ফ্লোরটাই বরাদ্দ। নিরামিষ ছেড়ে আমিষে ঢুকে পড়েছে বিজেপি। খাবারের মেনুতেও ছিল এলাহি আয়োজন। দুপুরের ছিল ভাত, ডাল, ভাজা, শুক্তো ছাড়াও তিনরকমের সবজি, কাতলা মাছের কালিয়া, মুরগির মাংসের ঝোল, তিনরকম স্যালাড, ল্যাংচা, আইসক্রিম, ডেজার্ট, স্যুপ। ছিল কয়েকরকমের শরবতও। বিলাসবহুল রিসর্টে প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে এদিন ধর্মতলার সমাবেশ থেকে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাবুরা তো এখন বৃন্দাবনে গিয়েছেন। ভোটের সময়ে তো হোটেলে অনেক কিছু হয়েছিল। এখন মন্থনের নামে কী হচ্ছে। সরকারি টাকায় বৈদিক ভিলেজের কটেজে মন্থন বৈঠক করছে।”