বাগদার জিতপুর সীমান্তের নারকীয় গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল বনগাঁ। ক্ষোভে ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাবদিহি চাইল তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে সীমান্ত রক্ষাকারী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স(BSF) এর জওয়ানদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে দল। তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ কথা, ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে মহিলাদের নিরাপত্তা-উন্নয়নের কথা বলছেন, অন্যদিকে একজন মহিলাকে গণধর্ষিতা হতে হচ্ছে বিএসএফ জওয়ানদের হাতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন এই ঘটনায় জবাবদিহি করবেন না? কেন এখনও পর্যন্ত দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বা স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হল না? এই সব প্রশ্ন তুলে বাগদায় গণধর্ষণের প্রতিবাদে গর্জে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সেখানে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদার, মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ সুস্মিতা দেব,কুণাল ঘোষ,পার্থ ভৌমিকরা। সেখানে প্রতিবাদ সভা করবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:আতঙ্ক কাটছে না বাগদার গণধ*র্ষিতা মহিলার শিশু সন্তানের
প্রসঙ্গত, শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বিএসএফ জওয়ানদের দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অত্যাচার, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা পাচারে যুক্ত থাকা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে তাদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকা এমনকী তাদের ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এক্তিয়ার বাড়িয়ে রাজ্যের অংশে দখলদারি করা সহ একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিন তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধদল রবিবার বাগদার জিতপুরে যাবে। সেখানে প্রতিবাদ সভা করবে দল। এই গণধর্ষণের ঘটনায় গোটা রাজ্যেজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যেখানে রক্ষই ভক্ষক সেখানে কীভাবে বিএসএফের উপর ভরসা করবে বাংলা সীমান্তবর্তী অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।