“আপনি শাসকদলের দালাল। আপনি আইপিএস (IPS), বিজেপি (BJP)-র শীর্ষ নেতৃত্বের নাম করে টাকা তোলেন। আপনি এই বৈঠকে কী করছেন”- এই বলে ICCR-এর বাইরে হাতাহাতি করছেন দুই বিজেপি নেতা। যাঁকে বলা হচ্ছে তিনি আইনজীবী ও বিজেপি কর্মী সব্যসাচী রায়চৌধুরী (Sabyasachi Raychoudhuri)। আর যিনি বলছেন তিনি বিজেপি-র যুব নেতা অভিজিৎ নাহা (Abhijit Naha)। প্রকাশ্যে একে অপরের কলার ধরে টানাটানিই শুধু নয়, অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ, হাতাহাতি, এমনকী পা তুলতেও দেখা যায়। আর সব্যসাচী রায়চৌধুরীর দাবি, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য তাঁর একটা ওকালত নামা সই করাতে তাঁকে সেই বৈঠকে ডেকেছেন। পরে, সাংবাদিকদের সামনে শমীক স্বীকার করেই এই কথা।
এটাই প্রথম নয়, এর আগেও মুরলীধর সেন স্ট্রিটের সামনে দুই বিজেপি কর্মীর হাতাহাতির সাক্ষী থেকে কলকাতা। শনিবার, বিকেলে তারই পুনরাবৃত্তি হল ICCR-এর সামনে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের এসেছেন বৈঠকে যোগ দিতে। সেখান প্রধানমন্ত্রী নামাঙ্কিত একটি সেমিনারের আয়োজনও হয়। সেখানেই বাইরে তখন হাতাহাতি করছেন দুই বিজেপি কর্মী। অভিজিৎ নাহার অভিযোগ, সব্যসাচী রায়চৌধুরী ‘তোলাবাজ’। তিনি উচ্চ পদস্থ সরকারি আধিকারিক বা শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের নাম করে টাকা তোলেন। এমনকী, বেকার যুবকদের থেকেও সব্যসাচী টাকা তুলেছেন তিনি। সেই তালিকায় অভিজিৎও আছেন বলে অভিযোগ। তবে, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে সব্যসাচীর দাবি, শমীক ভট্টাচার্যের আহ্বানেই তিনি বৈঠকে গিয়েছেন। তিনি একজন আইনজীবী ও বিজেপি কর্মী।
আরও পড়ুন- বিজেপির ‘চোর’ মন্তব্যে পাল্টা এবার কড়া বার্তা সৌগতর
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য স্বীকার করেন যে তিনিই সব্যসাচীকে ডেকেছিলেন ওকালতনামায় স্বাক্ষর করে দেবেন বলে। অভিজিৎ নাহার অভিযোগ সঙ্গে মন্তব্য না করলেও, শমীকের দাবি সব্যসাচীর সঙ্গে অভিজিৎই তাঁর পরিচায় করিয়ে দিয়েছিলেন। তবে, ভিতরে যখন দলের কেন্দ্রীয় নেতার উপস্থিতিতে বৈঠক চলছে, তখন প্রকাশ্য রাস্তায় হাতাহাতি করছেন দুই বিজেপি কর্মী- এই দৃশ্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। আর এই ঘটনা নিয়ে নিন্দায় সরব বিরোধীরাও।