ঝাড়খণ্ডে(Jharkhand) রাজনৈতিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মার(Hemant Biswsharma) অযোগ্যতার নোটিশের জেরে টলমল সেখানকার সরকার। এহেন পরিস্থিতে এবার ঝাড়খণ্ডের জেএমএম(JMM), কংগ্রেস ও আরজেডি-র জোট সরকার নিজেদের বিধায়কদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল। শনিবার হেমন্ত সোরেন ও কংগ্রেস(Congress) তাঁদের বিধায়কদের বাসে করে রিসর্টে নিয়ে যান। অনুমান করা হচ্ছে, টাকা দিয়ে বিধায়ক কিনে ঝাড়খণ্ডে সরকার ভাঙার পরিকল্পনা করছে বিজেপি(BJP)। যার জেরেই এই পদক্ষেপ। যদিও কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
জানা যাচ্ছে, বিধায়ক কেনাবেচা ঠেকাতে হেমন্ত সরকার সমস্ত বিধায়কদের পশ্চিমবঙ্গ বা ছত্তিশগড়ে নিয়ে যেতে পারেন। এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঝাড়খণ্ডের এক কংগ্রেস বিধায়ক জানান, অবিজেপি রাজ্য ছত্তিশগড় বা পশ্চিমবঙ্গে জোট সরকারের সকল বিধায়কদের নিয়ে যাওয়ার সব বন্দোবস্ত করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। সড়কপথে বিধায়কদের নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি লাক্সারি বাস রাঁচিতে পৌঁছয়। শেষ পাওয়া খবরে এই বাসে বিধায়কদের সঙ্গে নিয়ে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের তরফে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালকে পাঠানো এক মুখবন্ধ খাম নিয়ে উত্তাল হয়েছে ঝাড়খণ্ড রাজনীতি। ওই চিঠিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য জানিয়ে তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করা হয়। যদিও সেই চিঠি এখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি। জানা যাচ্ছে, রাজভবন থেকে হেমন্তের বিধায়ক পদ খারিজের ঘোষণা করা হলে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরতে হবে হেমন্তকে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ড রাজনীতি রীতিমতো সংকটে। সূত্রের খবর সেখানে মাথাচাড়া দিয়েছে বিজেপির ঘোড়া কেনাবেচার অঙ্ক। মনে করা হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে সতর্ক পদক্ষেপ নিলেন সোরেন।