সঙ্কট ক্রমশ বাড়ছে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে(Jharkhand)। বিপাকে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন(Hemant Soren)। ‘অফিস অফ প্রফিট’ মামলায় মুখ্যমন্ত্রী পদ খোয়াতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের তরফে ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের(Govornor) কাছে। মনে করা হচ্ছে আজই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্যপাল রমেশ ব্যাস। সবমিলিয়ে ঝাড়খণ্ড রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ বাড়ছে।

জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী হয়েও ঝাড়খণ্ডের এক খনির লিজ হেমন্ত সোরেনের নামে রয়েছে। শুধু তাই নয়, সোরেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, খনি এবং বনমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে খনি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনায় RTI অ্যাক্টিভিস্ট শিবকুমার শর্মা CBI এবং ED চেয়ে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি করেছিলেন তিনি। তদন্তের দাবির পাশাপাশি এই অভিযোগে রাজ্যপালের কাছে দরবার করেছিল বিজেপি। সেই অভিযোগের গুরুত্ব বিচার করে নির্বাচন কমিশনের কাছে সুপারিশ চেয়ে পাঠান ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বৈশ্য। মুখবন্ধ খামে সেই সুপারিশপত্র এসে পৌঁছেছে ঝাড়খণ্ড রাজ ভবনে। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধায়ক পদ থাকবে কিনা সেই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তিনি নেবেন। সেক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ আদৌ থাকবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাঁর বিধায়ক পদ যদি খারিজ হয় সেক্ষেত্রে সার্বিকভাবে তা নজিরবিহীন হতে চলেছে বলেই মতামত ওয়াকিবহাল মহলের।
যদিও সরকারি ভাবে এখনও কোনও ঘোষণা রাজ ভবনের তরফে করা হয়নি। কিন্তু সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার বিধায়কদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে রাঁচি পৌঁছতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দফতর বিবৃতিতে জানিয়েছে, একাধিক সংবাদ মাধ্যম থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পেরেছেন তাঁর বিধায়কপদ খারিজের সুপারিশ রাজ ভবনকে করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। কিন্তু সরকারি ভাবে রাজ ভবন বা নির্বাচন কমিশন কেউ মুখ্যমন্ত্রীর দফতরকে এই বিষয়ে অবগত করেনি।’















































































































































