কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের অপ্রয়োজনীয় ফাইল বিক্রি করে আয় প্রায় ৬৩ কোটি টাকা  

0
1

গত বছর একটি বিশেষ অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রক। সেই অভিযানে বিভিন্ন মন্ত্রক, দফতর থেকে প্রায় ২২ লক্ষ অপ্রয়োজনীয় কাগজের ফাইল সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত থাকা এক অফিসার জানান, ২২ লক্ষ কাগজের ফাইল সরিয়ে ফেলা হয়। এর ফলে রাষ্ট্রপতি ভবনের বিল্ট-আপ এলাকার বড় অংশ পরিষ্কার করা সম্ভব হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় সরকার এখন ফের বিশেষ অভিযান চালানোর  সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই অভিযান। জানা গিয়েছে, গত ২৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব  রাজীব গৌবা গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে ২ অক্টোবর থেকে চালু করা “বিশেষ প্রচারাভিযান ২.০” সম্পর্কে সমস্ত সচিবদের চিঠি লিখেছেন। সরকারি সূত্র বলছে, গত বছরের বিশেষ অভিযানে, ২১.৯ লক্ষ সরকারি ফাইল বাতিল বা অপ্রয়োজনীয় চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছিল ।

এমনকি সেই ফাইলগুলি সরিয়ে ফেলে প্রায় ১২ লক্ষ বর্গফুট জায়গা খালি করা হয়েছিল । প্রায় ৬২.৫ কোটি টাকা আয় হয়েছিল শুধু ফাইলগুলি স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করে। একইসঙ্গে ফাইলগুলি অপ্রয়োজনীয় হিসেবে চিহ্নিত করার সময় ৩ লক্ষেরও বেশি জনসাধারণের অভিযোগের নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়।

সব মন্ত্রকের সচিবদের নির্দেশে বলা হয়েছে, বিশেষ প্রচারাভিযান ২ চলতি বছরের ২ থেকে ৩১ অক্টোবর, ২০২২ পর্যন্ত চলবে । এই প্রচারাভিযানের সময়, মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের সঙ্গে সংযুক্ত  দফতরগুলি ছাড়াও বাইরের অফিসগুলিতে বিশেষ নজর দিতে হবে।

জানা গিয়েছে, গত বছরের অভিযানে, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ এক্সাইজ অ্যান্ড কাস্টমস (৩.৯ লক্ষ), সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (২,৫৬ লক্ষ) এবং খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের (১.৭৮ লক্ষ) সর্বাধিক সংখ্যক ফাইল স্ক্র্যাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সিবিআইসি এবং ডিআরডিওতে সর্বাধিক জায়গা খালি করা হয়েছিল। বিশেষ অভিযান ২.০-এর বিস্তারিত নির্দেশিকা শীঘ্রই জারি করা হবে।