পেগাসাস(Pegasus) কাণ্ডের তদন্তে গঠিত সিটের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল দেশের শীর্ষ আদালত(Supreme Court)। এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর অস্বস্তিতে পড়তে হল কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, তদন্তে কোনওরকম সহযোগিতা করেনি কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)। শুধু তাই নয় তদন্ত রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, যে ২৯ টি ফোন পরীক্ষা করা হয়েছিল তার মধ্যে ৫ টিতে মিলেছে সন্দেহজনক ম্যালওয়্যার। তবে সেগুলি আড়িপাতার জন্য ব্যভার হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো হয়নি রিপোর্টে।

বৃহস্পতিবার পেগাসাস মামলার শুনানি ছিল দেশের শীর্ষ আদালতে। শুনানি চলাকালীন বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পড়ে শোনায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেন্দ্র তদন্তে সহযোগিতা করেনি। পেগাসাস ব্যবহার করে কারও ফোনে আড়িপাতা হয়েছে কিনা, সেটা প্রকাশ্যে না আনার অবস্থানে অনড় থেকে গিয়েছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রজুক্তিগত বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং আরভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্বাধীন সিট মোট তিনটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। শীর্ষ আদালত এই তিনটি রিপোর্টের মধ্যে একটি প্রকাশ্যে এনেছে। মামলাকারীরা আরও দুটি রিপোর্ট দেখতে চেয়েছেন। শীর্ষ আদালত তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবর মাসে প্রধান বিচারপতি এনভি রামনার (NV Ramana) বেঞ্চ পেগাসাস (Pegasus) কাণ্ডে প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ‘সিট’ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সঙ্গে গঠন করা হয়েছিল আলাদা একটি প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ কমিটি। পেগাসাস-কাণ্ডের তদন্তে নিযুক্ত প্রযুক্তিগত বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, পেগাসাস ‘স্পাইওয়্যার’ (Spyware) সংক্রমিত ২৯টি ফোন করেও কোনও ফোনেই পেগাসাসের অস্তিত্বের নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে সন্দেহজনক ম্যালওয়্যারের হদিশ পাওয়া গেছে। ফলে এই রিপোর্ট মোদি সরকারকে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিরোধী পক্ষের নেতা-নেত্রী-সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ থেকে পুরোপুরি ‘ক্লিনচিট’ দিল না বলেই মনে করা হচ্ছে।














































































































































