অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে মাদক মামলায় ফাঁসানো হবে। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে এমনই হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। অনুব্রত মণ্ডল নিজেও এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিচারককে হুমকি কাণ্ডে নয়া মোড়।
আরও পড়ুন: কলকাতার বিলাসবহুল রিসর্টে চলতি মাসেই বঙ্গ বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির, আসছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
ইতিমধ্যেই ঘটনায় আসানসোল দক্ষিণ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে। হুমকি চিঠিতে প্রেরক হিসাবে বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে বর্ধমানের এক বাসিন্দার নাম উল্লেখ ছিল। বাপ্পা পেশায় বর্ধমান এগজিকিউটিভ কোর্টের পেশকার। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। আসানসোল পুলিশ বর্ধমানে এসে বাপ্পাকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন বাপ্পা। তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। কেউ বা কারা তাঁর নাম ব্যবহার করে এই অপকর্ম করেছে বলে বাপ্পার দাবি।
স্থানীয় তৃণমূল এবং বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় নামে কেউ তাদের দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। বর্ধমান পুরসভার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সনৎ বক্সি জানান, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় তাঁর ওয়ার্ডের হাউসিংয়ে থাকলেও সেভাবে পরিচয় নেই। তৃণমূলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই বাপ্পার।
এদিকে বাপ্পার পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছে, বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবিও তোলা হয়েছে।