ছোটবেলায় অনেকেরই মন থাকে না লেখাপড়ায়। পড়া ফাঁকি দেওয়ার জন্য একাধিক উপায় খুঁজতে থাকে পড়ুয়ারা (Student)। কিন্তু পড়তে না চেয়ে কাউকে মেরে জেলে (Jail) যাওয়ার পরিকল্পনার ঘটনা রীতিমতো বিরল। সম্প্রতি এমন ঘটনায় বিস্মিত সারা দেশ। জেলে গেলে করতে হবে না লেখাপড়া। এমন খবর কানে আসতেই নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিল এক পড়ুয়া। লেখাপড়া ও স্কুলে যাওয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে এক বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে মারার অভিযোগ উঠল দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গাজিয়াবাদের মাসুরি (Mussoorie) থানার অন্তর্গত নানকাগড়ি গ্রামে। বন্ধুকে মারার পর অভিযুক্ত দশম শ্রেণীর পড়ুয়া গার্ডেন এনক্লেভ থানায় (Garden Enclave Police Station) গিয়ে নিজের সমস্ত দোষ স্বীকারও করে নেয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশকে ওই পড়ুয়া অনুরোধ করে যাতে তাকে দ্রুত গ্রেফতার (Arrest) করে জেলে পাঠানো হয়। চলে কাকুতি-মিনতির (Request) পালা। তবে প্রথমে পুলিশ পড়ুয়ার কথা বিশ্বাস না করলেও পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের (Interrogation) সময় অভিযুক্ত পড়ুয়া জানায়, তাদের দুজনের বাড়ি কাছাকাছি। একসঙ্গে তারা খেলাধুলাও করত। তবে পড়ুয়ার অভিযোগ, সে লেখাপড়ায় দুর্বল ছিল, আর সেই কারণেই পরিবারের লোকজন তাকে বকাবকি করত এবং লেখাপড়ার জন্য অত্যাধিক চাপ দিত। এরপরই সে জানতে পারে জেলে থাকলে নাকি লেখাপড়া করতে হয় না। এরপরই লেখাপড়া থেকে মুক্তির জন্য জেলে যাওয়ার ফন্দি আঁটতে থাকে পড়ুয়া। যেভাবেই হোক মুক্তি চাই লেখাপড়া থেকে। এরপরই অষ্টম শ্রেণীর বন্ধুকে মারার পরিকল্পনা করে অভিযুক্ত। দিল্লি-মেরঠ এক্সপ্রেসওয়ের (Delhi Meerut Expressway) নীচে এক জায়গায় অষ্টম বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে মারার অভিযোগ ওঠে। বর্তমানে পুলিশ পড়ুয়াকে শিশু সংশোধনাগারে (Children’s Correctional Home) পাঠিয়েছে বলে খবর।