ফোনে দিলীপকে সতর্কবার্তা নাড্ডার, জবাব তৈরি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির

0
1

দল এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তিনি ‘অস্বস্তি’-তে ফেলেছেন পরপর তিন দিন। রাজ্যে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির এই সাংসদ প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত নেতাদের সঙ্গে তাঁদের ‘সেটিং’ রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, ইডির উপর তাঁর ভরসা আছে।

রবিবারের মন্তব্যের পরেই দিল্লি থেকে ‘কড়া বার্তা’ পান। তবুও সোম ও মঙ্গলবার সকালে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একই কথার পুনরাবৃত্তি শোনা যায় তাঁর মুখে।

ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী দিলীপের বিরুদ্ধে দিল্লির নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda) ফোন করে তাঁকে সতর্ক করলেন। এরপর এধরনের মন্তব্য করলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে পারে শীর্ষ নেতৃত্ব, এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

দিলীপ কিন্তু বলছেন, দল বা সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতে কিছু বলিনি। আমি যেমন দলের কাছে দায়বদ্ধ, তেমন কর্মীদের কাছেও দায়বদ্ধ। সেটা আরও বেশি করে। সন্ত্রাসে মৃত কর্মীদের পরিবারের কাছেও আমি দায়বদ্ধ। তাঁদের মনের কথাই আমার মুখ থেকে বেরিয়েছে।

শীর্ষ নেতৃত্ব জানতে চাইলে জবাব তৈরি দিলীপের। তিনি বলেন, জানতে চাইলে নিশ্চয়ই বলব। ছেলের খুনের সুবিচার মিলবে, দোষীরা সাজা পাবে বলে যে মা’কে কথা দিয়েছিলাম, এখন আমি সেই মায়ের সামনে কোন মুখে দাঁড়াব? যে স্বামী হারানো বা নির্যাতিত বোনকে বিচার মিলবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলাম, তাঁদেরই বা কী বলে সান্ত্বনা দেব? আসলে সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে তাঁর মূল আপত্তি ‘ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস’-এর তদন্তের বিষয়ে।
জানা গিয়েছে, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল্লিকে পাল্টা চিঠি দিচ্ছেন দিলীপও। সেখানেই তিনি স্পষ্ট করবেন, কেন বারবার এধরনের মন্তব্য করছেন।