বেনামি লেনদেনের মামলায় আইনের ধারাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলল সুপ্রিম কোর্ট

0
2

ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের। বেনামি লেনদেন (Benami Transaction Prohibition Amendment Act) আইনের ধারাকে এবার ‘অসাংবিধানিক’ (Unconstitutional) বলে ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার, সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সাফ জানিয়ে দিয়েছে, যে আইনে অপরাধীদের (Criminal) শাস্তি দেওয়া হত সেটি ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন (প্রতিরোধ) আইনের ৩(২) ধারা। ফলে এবার থেকে বেনামি লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে যারা অভিযুক্ত বা দোষী সাব্যস্ত হবেন তাঁদের ওই ধারায় জেল (Jail) ও জরিমানা (Fine) হবে না। মঙ্গলবার, কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) একটি রায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলার শুনানিতেই এমন মন্তব্য করেন সুপ্রিম কোর্ট।

কেন্দ্র বনাম মেজার্স গণপতি ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের ওই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট ২০১৬ সালের বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ সংশোধনী আইনটিকে ‘ভবিষ্যনির্ভর’ বলে মন্তব্য করেছিল। যার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। মঙ্গলবার, সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিন মামলাটির শুনানির পরই শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষেই রায় দেন। সাফ জানিয়ে দেন ১৯৮৮ সালের বেনামি লেনদেন প্রতিরোধ আইনের ৩(২) ধারা অসাংবিধানিক তো বটেই, ২০১৬ সালের সংশোধনী আইনটিও তার বাইরে নয়।

এতদিন এই আইনেই আইনভঙ্গকারীকে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, জরিমানা অথবা উভয়ই শাস্তি দেওয়া হত। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এমভি রামানার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দেন, ভারতীয় সংবিধানের ধারা অনুযায়ী ২০(১) অনুচ্ছেদের বিরোধী এবং পুরোপুরি অযৌক্তিক। ১৯৮৮ সালে প্রণয়ন হয়েছিল এই আইন। আর এতদিন পর্যন্ত ওই আইনেই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হত। পরে ২০১৬ সালে এই আইনটি সংশোধনও করা হয়। কালো টাকা রোধ করার উদ্দেশে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Narendra Modi) মূল আইনটি সংশোধন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীকালে সংসদে “বেনামি লেনদেন (নিষেধ) সংশোধনী আইন, ২০১৬” পাস করা হয়েছিল।