কাটল জট: শর্ত সাপেক্ষে মহম্মদ আলি পার্কে দুর্গাপুজোর অনুমতি পুরসভার

0
1

কেটে গেল জট। শর্ত সাপেক্ষে মহম্মদ আলি পার্কে দুর্গাপুজোর অনুমতি দিল কলকাতা পুরসভা (KMC)। জলাধারে নয়, পুজো করতে হবে পার্কের ফাঁকা অংশেই। মঙ্গলবার দুপুরে মহম্মদ আলি পার্ক পরিদর্শন করে একথাই স্পষ্ট করে দিল কলকাতা পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগ। মঙ্গলবার দুপুরে মহম্মদ আলি পার্ক (Muhammad Ali Park) পরিদর্শনে যান কলকাতা পুরনিগমের (Kolkata Municipal Corporation) পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ডিস্ট্রিবিউশন) অমিতাভ পাল। ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে মাঠের কোন অংশ বর্তমানে ঠিক কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর ও বোরো চেয়ারম্যান রেহানা খাতুন (Rehana Khatun)। বিগত বছরগুলিতে মাঠের যে অংশে মণ্ডপ তৈরি হত সেই জায়গায় দীর্ঘক্ষণ চলে মাপজোকের কাজ। এরপর জল সরবরাহ বিভাগের ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়, বরো চেয়ারপার্সন রেহেনা খাতুন যৌথভাবে মহম্মদ আলি পার্ক পরিদর্শনের পরই পুজো করার সিদ্ধান্ত দেন।

যে যে শর্তে অনুমতি দিল পুরসভা-
• জলাধারের উপর তৈরি মণ্ডপ ভাঙতে হবে
• পার্কের ফাঁকা জমিতে করতে হবে দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল
• মণ্ডপ এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে বাইরে থেকেই দর্শকরা প্রতিমা দর্শন করতে পারেন
• দর্শনার্থীদের যেন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে না হয়

মহম্মদ আলি পার্কে রয়েছে পুরসভার শতাব্দী প্রাচীন ভুগর্ভস্থ জলাধার (Underground Reservoir)। তবে এই জলাধারের বর্তমান অবস্থা শোচনীয়। সেই বিপজ্জনক জলাধারের উপরই পুজোর মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করেছিল পুজো কমিটি। আর বিষয়টি নজরে আসতেই মণ্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ করে দেয় জল সরবরাহ বিভাগ। এই জায়গায় পুজোর প্যান্ডেল হলে জনসমাগমের চাপ পড়তে পারে ব্রিটিশ আমলের ওই জলাধারটিতে। এরপরই কলকাতা পুরসভা পুজো উদ্যোক্তাদের কাজ বন্ধের নোটিশও ধরায়।

২০১৯ সালে ভূগর্ভস্থ জলাধারটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছিলেন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। সেই সময় ইটের তৈরি ওই জলাধারে ফাটল দেখা যায়। তারপর থেকেই পার্কের ভিতরের পুজো সরে যায় বাইরে। পুরসভা সূত্রে খবর, জলাধারের অংশটি ছেড়েও যদি মণ্ডপ তৈরি হয় তাও নিরাপদ নয়। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন আপাতত চিঠি দিয়ে মণ্ডপ তৈরির কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল পুরসভা।