সরাসরি দল বিরোধী না হলেও একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের বঙ্গ রাজনীতির বাজার গরম করে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সিবিআই-এর “সেটিং” তত্ত্বের পর এবার দলেরই একাংশের নেতাদের নিশানা করলেন বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ এবার জোর গলায় দাবি করলেন, “কলকাতায় একটা আসনও পাবে না বিজেপি।” যা নিয়ে গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই শুরু হয়েছে জোরচর্চা। দিলীপ ঘোষের আরও দাবি, শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যতই দুর্নীতির অভিযোগ উঠুক, কলকাতা শহরের মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দেবেন। বিজেপি কলকাতায় কোনওদিন আসন পায়নি। কলকাতার লোকের দুর্নীতি নিয়ে কোনও মাথাব্যাথ্যা নেই। মানুষ তৃণমূলের পক্ষেই।
আরও পড়ুন:হেস্টিংসে দলের সাংগঠনিক বৈঠক এড়ালেন দিলীপ ঘোষ, জল্পনা তুঙ্গে
দিলীপ ঘোষের কথায়, “রাজ্যজুড়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। কলকাতায় প্রতিবাদ কোথায়? আমি যা বলি সত্য বলি। কারও খারাপ লাগলে আমার কিছু করার নেই। কারও যদি দম থাকে, কলকাতায় বিজেপিকে জিতিয়ে দেখাক।” খুব স্বাভাবিকভাবেই দিলীপ ঘোষের এমন মন্তব্যের পর জোরচর্চা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। দলের কোন নেতাদের নিশানা করছেন দিলীপ ঘোষ? একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্য নেতৃত্বের উপর অনাস্থা প্রকাশ করলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?
বঙ্গ বিজেপিতে বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের অম্ল-মধুর সম্পর্ক কারও অজানা নয়। সুকান্ত-শুভেন্দু-অমিতাভ চক্রবর্তীরা দিলীপ ঘোষকে কোণঠাসা করে রেখেছে। সেই জায়গা থেকেই দিলীপ ঘোষের এমন বিস্ফোরক মন্তব্য বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
প্রসঙ্গত, সিবিআই মন্তব্য এবং সোমবারের বৈঠক বিতর্কের পর রাজনৈতিক শিবিরে প্রশ্ন উঠছে সিবিআই মন্তব্যের জেরেই বঙ্গ বিজেপির বৈঠকে ‘ব্রাত্য’ দিলীপ ঘোষ! তিনি কি আরও গুরুত্ব হারাচ্ছেন? এই বিষয়ে তাঁর সাফ বক্তব্য, “আমি কি রাজ্য কমিটিতে আছি? নেই তো। তাহলে সেই বৈঠকে আমি থাকব কেন?” আবার দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মিটিংয়ের দিন হয়তো উনি কোনও কাজে ব্যস্ত ছিলেন,তাই আসেননি। মিটিং শুরু হওয়ার পর অনেক সময় দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেজন্য হয়তো বুঝতে পারেননি কোথাও মিটিং হচ্ছে”।