অনুব্রতর সম্পত্তির হদিস পেতে রেজিস্ট্রি অফিসে সিবিআই

0
1

আর মাত্র কয়েকঘণ্টার অপেক্ষা। আগামিকাল অর্থ্যাৎ বুধবারই ফের আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হবে গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলকে। তার আগে তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ জোগাড় করতে মরিয়া তৎপর। সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই বীরভূমের একাধিক জায়গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি । এদিন বোলপুরের রেজিস্টি অফিসে পৌঁছে যান সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

আরও পড়ুন:Bilkis Bano Case: বিলকিসের ধ*র্ষকদের মুক্তি কেন? এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মহুয়া মৈত্র

মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছন বোলপুরে। সোজা জমি রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছে যান তাঁরা। ভিতরে ঢুকে কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সঙ্গে। অনুব্রত মণ্ডলের জমি ও রাইসমিলের হদিস পেতে রেজিস্ট্রি অফিসের বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এবং কিছু নথি সেখান থেকে জোগাড় করেন তিনি।  কাগজপত্র ছাড়াও অনলাইনে নথিভুক্ত জায়গাজমি সম্পর্কেও তথ্য তলব করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

মঙ্গলবার সকালে বোলপুরের নেতাজি মার্কেটে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা ‘ভোলে বোম’, ‘শিব শম্ভু’র মতো চালকলের মালিকানা, লিজ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান বলে খবর। এ ছাড়া, অনুব্রত, তাঁর মেয়ে সুকন্যা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের স্থাবর সম্পত্তি ঠিক কত, সে সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ভোলে ব্যোম, শিব শম্ভু, শংকর ছাড়াও বীরভূমের ১০টি রাইস মিলের দিকে নজর রয়েছে সিবিআইয়ের। ইতিমধ্যে ভোলে ব্যোম রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়েছেন আধিকারিকরা। সেখান থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে যদিও একটা অনুব্রতর গাড়ি ছাড়া বাকি গুলো তাঁর নয় বলেই আদালতে জানিয়েছেন অনুব্রত। অন্যদিকে, শিব শম্ভু রাইস মিলের মালিকানা নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন উঠছে। কারণ, মিলের দরজায় থাকা সাইন বোর্ড অনুযায়ী, জেবি পাল ও ডিডি পাল নামে দু’জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। এদিকে  রাইস মিলটি লিজ নেওয়া হয়েছে অনুব্রতর দিদি শিবানী ঘোষের নামে। ব্যবসার অংশীদার হিসাবে উঠে আসছে অনুব্রতর ভাগ্নের নাম।