২ কোটিরও বেশি খরচে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির

0
4

২০২১ সাল থেকেই চলছে ভরাডুবি বিজেপির। বিধানসভা থেকে একের পর এক উপনির্বাচন, কোথাও খাতা খুলতেই পারেনি গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে দলের সভাপতি পরিবর্তন এবং নানা উপদলে ভেঙে যাওয়া বিজেপির ভরসা এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কিন্তু তাতেও কোনওভাবেই বাংলার মানুষের মন জিততে পারছে বিজেপি। এমতাবস্থায় দলকে নতুন করে অক্সিজেন দিতে বাংলার গেরুয়া শিবির উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকী রীতিমত দলকে প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে তারা।আর সে নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

আরও পড়ুন:Corona Update: বড় স্বস্তি! করোনা সংক্রমণ গ্রাফ নামল সাড়ে ৮ হাজারে

প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এতটাই এলাহি যেন মনে হবে বড় কোনও শিল্পপতির মেয়ের বিয়ে। জানা গেছে, দলকে চাঙ্গা করতে প্রশিক্ষণ শিবির চলবে ২৯ থেকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। দিল্লির প্রতিনিধি হিসেবে থাকবেন দলের সর্বভারতীয় নেতা বি এল সন্তোষ, রাজ্যের নয়া পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল এবং অমিত মালব্য। সবমিলিয়ে রাজ্যের মোট শ’দেড়েক প্রতিনিধি শিবিরে উপস্থিত থাকবেন। বিলাসবহুল বৈদিক ভিলেজকে প্রশিক্ষণস্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।

শুধু তাই নয়, প্রতিটি প্রতিনিধির জন্য ঘর, স্পা, সুইমিংপুল, খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন তো রয়েইছে। দলের তরফেই হিসেব দিয়ে বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে ৩ দিনে খরচ গড়াবে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। কর্মীদের ধারণা, আরও ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা খরচের সম্ভাবনা প্রবল। ফলে বলাই যায়, শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ শিবিরের জন্য বিজেপি খরচ করতে চলেছে ২ কোটিরও বেশি।

এর আগে ২০১৬ সালে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির বসেছিল হলদিয়াতে। সেখানের ব্যবস্থাপনা ছিল আর পাঁচটি প্রশিক্ষণ শিবিরের মতোই। তবে ২০২২ এর প্রশিক্ষণ শিবিরের এই এলাহি আয়োজন কেন? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন। এমনকী দলের অভ্যন্তরেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে ক্ষোভ। একাংশের মতে এই প্রশিক্ষণ শিবির ঘিরে বিরোধীদের কাছে কেন নতুন করে সমালোচনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হল।

এদিকে বৈঠক চলাকালীন হেস্টিংসের অফিসের অন্য ঘরে থাকলেও তাতে যোগ দেননি দিলীপ ঘোষ।ট্যুইট মালব্য বৈঠক করলেন।  আসলে দিলীপ যাতে বৈঠকে যোগ দিতে না পারেন তার জন্য বৈঠকের সময় দিলীপকে ভুল বলা হয়েছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টা তাঁকে বসিয়ে রাখা হয়। পরে কোর কমিটির বৈঠকে তাঁকে ডেকে নেওয়া হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, নবান্ন অভিযানের দিন পরিবর্তন করে ১৩ অগাস্ট হবে। মালব্যের দাবি, ১৩ লক্ষ লোক হবে। সে দাবি শুনে হাসছেন দলীয় নেতৃত্ব। বলছেন, মাটির সঙ্গে যোগ না থাকলে যা হয়। সেদিনের মিছিলে ১৩ হাজার লোক হলে ধন্য হয়ে যাবে বিজেপি।