একদিকে মেঘভাঙা বৃষ্টি ,অন্যদিকে লাগাতার বর্ষণের জেরে হড়পা বান। যার জেরে হিমাচল প্রদেশে একদিনে বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এখনও নিখোঁজ ৫ জন। বৃষ্টি-ধসের জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে মান্ডি, কাংড়া ও চাম্বা জেলাতে। বৃষ্টি-ধসের কারণে রাজ্যজুড়ে কমপক্ষে ৩৬ জায়গায় বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:পুজোর আগেই রাজ্যে বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের
বিগত তিন-চারদিন ধরেই রাজ্যে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে শনিবার আচমকাই ধর্মশালার কাছে মেঘভাঙা বৃষ্টি নামে। চাম্বা, মান্ডি সহ একাধিক জেলা ভারী বৃষ্টিতে ব্যপকভাবে প্রভাবিত হয়। মান্ডি ও সিমলা-চণ্ডীগঢ় হাইওয়ে মিলিয়ে কমপক্ষে ৭৪৩টি রাস্তা ধসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। রাস্তাঘাট, বাড়ি, দোকান জলমগ্ন হয়ে পড়ায় বিপর্যস্ত হয়েছে জনজীবনও।
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র মান্ডিতেই হড়পা বান ও ধসের কারণে ১৩ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। কাশান গ্রামে বৃষ্টির জেরে ধস নেমেছে, ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। একটি বাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে পরিবারের আট সদস্যের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবারই লাগাতার বৃষ্টি ও নদীর জলস্রোতের জেরে হিমাচল প্রদেশের কাংড়ায় চাক্কি নদীর উপরে তৈরি রেলব্রিজও ভেঙে পড়ে। এর জেরে পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগ পথ বিপর্যস্ত হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া দফতর তরফে জানান হয়েছে, আগামী ২৫ আগস্ট অবধি রাজ্যে অতি ভারী বৃষ্টি ও ধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলো সতর্ক করেছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আগামী ৩-৪দিনে কাংড়া, চাম্বা, মান্ডি, কুলু, সিমলা, সোলাং, হামিরপুর, উনা ও বিলাসপুরের মতো একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী ২৪ আগস্ট অবধি হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।