বিলকিস বানো(Bilkis Bano) গণধর্ষণকাণ্ডে অপরাধীদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার(Gujrat Govt)। এই ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। গুরুতর অপরাধীদের এভাবে মুক্তির ঘটনায় দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সব শ্রেণীর মানুষ। এবার এই ঘটনায় মুখ খুলল ‘মার্কিন কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’(USCIRF)। কড়া ভাষায় ভারতের বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করে তাদের তরফে জানানো হয়েছে যেভাবে বিলকিস বানো ধর্ষণকাণ্ডে অপরাধীদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা ‘অন্যায়’।
আন্তর্জাতিক ওই সংস্থার তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় আক্রান্ত মুসলিমদের খুন ও একজন মুসলিম অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন আসামিকে মেয়াদ শেষের আগেই অন্যায্য ভাবে যেভাবে মুক্তি দেওয়া হল USCIRF তার কড়া নিন্দা করছে।” তাদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, “গুজরাট দাঙ্গার দোষীদের কারাবন্দি করে রাখতে না পারার এই ব্যর্থতা আসলে ‘বিচারের প্রহসন।” এরপর ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি তুলে ধরে জানানো হয়েছে, ‘সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনকারীদের এভাবেই মুক্তি দেওয়া হয় ভারতে। অবশ্য এই ঘটনায় সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতে হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আদালতের বিচারপতির তরফে অবশ্য স্পষ্টকরে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অপরাধীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে গুজরাট সরকারের। এটা আদালতের সিদ্ধান্ত নয়।
২০০২ সালে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে এগারোজনকে যাবজ্জীবন ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসেই তাদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। ধর্ষকদের মালা পরিয়ে মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে। দোষীদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিলকিস বানো স্বয়ং বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। সাধারণ মানুষও আদালতকে দায়ী করতে থাকেন। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন ওই সংস্থার মন্তব্যে গুজরাট সরকার তথা বিজেপির উপরে চাপ বাড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।