সন্দেহের বশে স্বামীর গোপনাঙ্গে গরম জল ঢেলে গ্রেফতার স্ত্রী

0
2

অনান্য দিনের মত এদিনও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল ঝগড়া। তবে রোজকার তুলনায় এদিন ঝগড়ার মাত্রা চরমে ওঠে। তবে তার পরিণতি যে এইরকম হতে পারে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি স্বামী! শুধুমাত্র সন্দেহের বশে স্বামীর গোপনাঙ্গে গরম জল ঢেলে দিলেন স্ত্রী! ওই ব্যক্তি যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে পড়শিরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

আরও পড়ুন:ধ*র্ষণ কাণ্ডে শাহনওয়াজ হুসেনের বিরুদ্ধে FIR-এর নির্দেশ, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি নেতা

ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর রানিপেট জেলার কাবেরীপক্কমের কাছে একটি গ্রামে। স্বামীকে আঘাত করার অভিযোগে তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জানা গিয়েছে, আহত ওই যুবকের নাম এল থঙ্গরাজ। ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি শ্রীপেরুমবুদুরের একটি বেসরকারি সংস্থায় সুপারভাইজার পদে চাকরি করেন। এদিন রোজকার মত সাধারণ ঝগড়া হলেও, তার পরিণতি এমনটা হতে পারে তা ঘুণাক্ষরেও জানতে পারেননি তিনি। আপাতত তাঁকে ওয়ালাজাহ গভর্নমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে অ্যাডভান্সড কেয়ারের জন্য তাঁকে ভেলোর সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন যে, থঙ্গরাজের গোপনাঙ্গ প্রায় ৫০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে।

এদিকে কাবেরীপক্কম পুলিশ গ্রেফতার করেছে ২৯ বছর বয়সী টি প্রিয়াকে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৯৪ (বি) (অশ্লীল কাজ এবং গান), ধারা ৩২৪ (স্বেচ্ছায় বিপজ্জনক অস্ত্র কিংবা উপায়ের মারফত আঘাত করা), ধারা ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শনের শাস্তি), এবং ধারা ৫০৬ (ii) (যদি মৃত্যু অথবা গুরুতর আঘাত করার হুমকি দেওয়া হয়)-এর আওতায় প্রিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, থঙ্গরাজের সঙ্গে টি প্রিয়ার প্রায় সাত বছরের বিবাহিত জীবন। তাঁদের একটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। হামেশাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লাগত। কারণ থঙ্গরাজকে সন্দেহ করতেন প্রিয়া। প্রতিদিনের মতো গত শনিবারও দু’জনের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়। এর পরে একটু তাড়াতাড়িই ঘুমোতে চলে যান থঙ্গরাজ। কিন্তু রাগের বশে প্রিয়া শৌচাগারের গিজার থেকে গরম জল ভরে নেন বালতিতে। এর পর সটান ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গে সেই গরম জল ঢেলে দেন তিনি। যন্ত্রণায় কাতর থঙ্গরাজ সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর চেঁচামেচিতে বাড়িতে হাজির হন প্রতিবেশীরা। আর তাঁরাই থঙ্গরাজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।