ভারতের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ দিল্লির লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কৃতিত্বের কথার সঙ্গে সঙ্গে তিনি তাঁদের স্বপ্নের ভারত গড়ার কথা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২৫ বছর দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উন্নততর ভারত গড়তে গেলে পঞ্চ সংকল্প মেনে চলতে হবে। যা আমাদের দেশকে উন্নততর করবে।”
আরও পড়ুন:স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছাবার্তা মোদি ও মমতার
নরেন্দ্র মোদির কথায়, “আগামী ২৫ বছর দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২৫ বছরে ৫ পরিকল্পনা আমাদের সংকল্পকে পূরণ করতে হবে। গোটা পৃথিবী এখন ভারতকে অন্য নজরে দেখে। ভারতের কাছে গোটা বিশ্বের এখন অনেক আশা। পুনর্চেতনা, পুনর্জাগরণের সময় এসেছে। গত ৭৫ বছরের যাত্রা অনেক চড়াই উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও ভারত এগিয়ে চলেছে। তাই এবার স্বাধীনতার ১০০ বছরের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলি আমরা।”
অন্যদিকে স্বাধীনতা দিবসের মঞ্চেও ভাষণের শেষলগ্নে পরিবারতন্ত্র, স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি নিয়ে কড়া বার্তা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সাফ বার্তা, “বর্তমানে দেশ দু’টি বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এক, পরিবারতন্ত্র। দুই, দুর্নীতি। এই দুইয়ের বিরুদ্ধেই সচেতনতা বাড়াতে হবে। দেশের প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বজনপোষণ এবং দুর্নীতি মুক্ত করতে হবে।”এদিন প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন,শুধুমাত্র রাজনীতি নয়। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, পরিবারতন্ত্র রয়েছে। এবার সেই জাল থেকে বেরিয়ে আসা প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যোগ্যতার ভিত্তিতেই অগ্রগতির পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। পাশাপাশি দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে দুর্নীতি দূর করার পক্ষে সওয়াল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়,”দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রতি কড়া মনোভাব দেখাতে হবে। দেশের টাকা লুঠ করে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে। তাই দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।”
এদিন পতাকা উত্তোলনের পরই দেশকে বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত করতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মরণপণ লড়াইয়ের কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারতবর্ষের বিভিন্ন অঞ্চলের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কথা উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, “মঙ্গল পাণ্ডে, তাতিয়া টোপে, ভগৎ সিং, সুখদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর আজাদ, আশফাকুল্লা খান, রামপ্রসাদ বিসমিলের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আজ ধন্যবাদ জানাচ্ছে দেশ।” তিনি আরও বলেন, “স্বাধীনতার বিষয়ে কথা বলার সময় আমরা আদিবাসী সমাজের অবদানের কথা ভুলতে পারি না। ভগবান বিরসা মুণ্ডা, সিধু-কানু, আল্লুরি সীতারাম রাজু, গোবিন্দ গুরু এমন অনেক সংগ্রামী স্বাধীনতার আওয়াজ হয়ে উঠেছিলেন।”