আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipore Weather Department) আগেই সতর্কতা জারি করেছিল। সেই মতো স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি:(Rain) ভিজছে বঙ্গ। রাত থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বিভিন্ন জেলায়। বঙ্গোপসাগরের (Bay of Bengal) যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তার জেরে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে সাগরে। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে, উত্তাল সমুদ্র। পাশাপাশি পূর্ণিমায় কোটালের জেরে বেড়ে গিয়েছে নদীর জলস্তর। সেই জল নদী বাঁধ ছাপিয়ে ঢুকে পড়েছে কাকদ্বীপ (Kakdwip) বাজারে, বিপাকে সাধারণ মানুষ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি। বেলা বাড়তেই বৃষ্টির পরিমাণও বাড়তে থাকে। কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতেও একনাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই বহু এলাকা জলমগ্ন। জোয়ারে জল বাড়ায় কিছু কিছু জায়গায় নদী বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকেছে গ্রামের ভেতরে। সাগর এবং নামখানায় (Namkhana) ছড়িয়েছে আতঙ্ক কারণ নদীর বাঁধ ছাপিয়ে বিভিন্ন এলাকার জল ঢুকেছে, প্লাবনের আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা। জল ঢুকেছে কাকদ্বীপ বাজারে, একাধিক দোকানঘরে প্রবেশ করেছে নদীর জল। আজ এমনিতেই ছুটির দিন তাই বাজার সংলগ্ন এলাকায় বহু মানুষ কেনাকাটা করতে এসেছিলেন। কিন্তু জলমগ্ন রাস্তাঘাটে তাঁদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়েছে। মৌসুমী দ্বীপ-সহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরি হয়েছে আশঙ্কা।
সূত্রের খবর, হাওয়া অফিসের নির্দেশ মতো নিম্নচাপের জেরে যাতে মানুষ সমস্যায় না করে সেই কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই ডায়মন্ডহারবার মহকুমার পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। অন্যদিকে দিঘা, মেদিনীপুরেও জারি হয়েছে সতর্কতা। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক পর্যটক দিঘার সমুদ্রে তলিয়ে গেলে তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাশাপাশি পুরুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতায় (Kolkata)আজ সারাদিন একটানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আগামিকাল স্বাধীনতা দিবসের দিনও একইরকম আবহাওয়ায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।













































































































































