বালি মাফিয়াদের রুখতে আরও কঠোর বর্ধমান-হুগলি জেলা প্রশাসন, শুরু ধরপাকড়

0
1

অবৈধ বালি মজুত, অতিরিক্ত বালি বহন, নদী থেকে বালি তোলা সহ বেশকিছু বিষয়ের উপর অভিযান চালাতে তৎপর বর্ধমান ও হুগলি দুই জেলা প্রশাসন। এর আগে বহুবার নির্দেশিকা (Guidelines) জারি করে বা নয়া নিয়ম লাগু করেও কোনও কাজ হয়নি। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তরফে শুরু হল অভিযান। এবার থেকে সরকারি নির্দেশ (Government Guidelines) না মানলেই হতে পারে জরিমানা ও জেল হেফাজত।

বালি মাফিয়া ঠেকাতে ড্রোন (Drone) ওড়ানোর সিদ্ধান্ত আগেভাগেই নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এবার বেআইনিভাবে (Illegal) বালি খাদান ও মজুতদারদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনা পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলা প্রশাসনের। প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে অবৈধভাবে বালি মজুত করে রাখার অভিযোগে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি, বর্ধমান, খণ্ডঘোষ, রায়না, শক্তিগড়, জামালপুর, আউশগ্রাম মঙ্গলকোট, মাধবডিহি থানা এলাকায় বেআইনি বালি পাচার চক্র বরাবরই সক্রিয়। অভিযোগ, লিজ নেওয়ার পর নির্দিষ্ট করে দেওয়া সীমানার বাইরে থেকেও প্রচুর পরিমাণ বালি বেআইনিভাবে তুলে নেওয়া হয়। ভুয়ো চালান দেখিয়ে বালি পাচারে দাদাগিরি দেখাতে থাকে মাফিয়ারা। পাশাপাশি রয়েছে ওভারলোডিংয়ের (Overloading) অভিযোগও। এদিকে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ জারি হওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে অভিযান। শুক্রবার সন্ধে থেকেই বালি মাফিয়াদের ডেরায় পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হানা দিচ্ছে ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকরা (Department of Land and Land Reforms)। শুরু হয়েছে ধরপাকড়ের কাজও।

জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের এক আধিকারিক জানান, ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমাণ মজুত বালি নজরে এসেছে। বালিঘাটের মালিকরা কত পরিমাণ বালি মজুত করতে পারবেন তা লিজ নেওয়ার সময় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু দেখা যাচ্ছে অনেকেই বেআইনিভাবে বেশি বেশি বালি মজুত করে রেখেছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ (FIR) দায়ের করা হয়েছে। তবে অন্যান্য বছরের মত চলতি বছরেও বর্ষার মরশুমে নদী থেকে বালি তোলার কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হয়েছে। তবে সেই নির্দেশও অমান্য করে অনেক জায়গায় অবৈধভাবে বালি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: পা-পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা, পার্থকে জেলে ব্যায়ামের পরামর্শ চিকিৎসকদের