৮ বছর পরেও সারদা মামলায় তথ্য দিতে না পারায় হাইকোর্টে মুখ পুড়ল সিবিআইয়ের

0
1

সারদা মামলায়  মুখ পুড়ল সিবিআইয়ের (CBI)। দীর্ঘ ৮ বছর তদন্তের পরেও সারদা কেলেঙ্কারিতে উঠে আসা তথ্য সম্পর্কে আদালতকে তথ্য দিতে পারল না সিবিআই। আর সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা কেন ওয়াকিবহাল নন, সেই প্রশ্ন তুলল আদালত। সিবিআইয়ের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ (Division Bench) জানতে চায়, ২০১৪ সাল থেকে সারদা মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এরপরেও সারদা কাণ্ডে উঠে আসা তথ্য সম্পর্কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবীর কাছে কেন কোনও তথ্য নেই? এতদিন পরেও সিবিআইয়ের আইনজাবী আদালতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছেন, ইনস্ট্রাকশনের জন্য আরও সময় দিতে হবে।আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সিবিআইকে আদালতে সমস্ত তথ্য জমা দিতে হবে।

সম্প্রতি কাঁথি পুরসভা থেকে সারদা মামলার নথি উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায়  সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কাঁথি থানার পাঁচ পুলিশ আধিকারিক। অন্যদিকে, আদালতে মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস জানান, ২০১৪ থেকে আজ অবধি সিবিআই তদন্ত করছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে যে ধারায় সিবিআই তদন্ত করছে সেটি সম্পূর্ণ আর্থিক তছরুপ মামলা। কিন্তু কাঁথি থানা যে তদন্ত করছে সেটা চুরির তদন্ত। ফাইল লোপাটের তদন্ত। তার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিবিআই তদন্তের কোনও যোগ নেই। তাঁর প্রশ্ন, সেই মামলার তদন্ত রাজ্যের সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ করে কী করে ? সেই প্রশ্ন তুলে এবং তদন্তকারী সংস্থা স্থানান্তরিত করার আর্জি নিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। সেই মামলাতেই এদিন সিবিআইয়ের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলে আদালত।

যদিও রাজ্যের তরফে আইনজীবী আমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, ২০১৪ থেকে সিবিআই সারদা মামলার তদন্ত করছে। কি করতে পেরেছে? সিবিআই নিজেই কনফিডেন্ট নয়। সেই কারণেই এত বছর তদন্ত করেও কিছু করতে পারেনি। সিবিআই যদি মনে করত তাহলে এই চুরির তদন্ত করতেই পারতো। কিন্তু তারা এই চুরির তদন্ত করেনি। এর থেকেই প্রমাণিত সিবিআই যে যে ধারায় তদন্ত করছে, তার সঙ্গে বর্তমান অভিযোগের কোনও যোগ নেই। তাই কাঁথি থানা এ বিষয়ে তদন্ত করতেই পারে। এপর্যন্ত সারদা মামলায় কী কী তথ্য উঠে এসেছে তা জানতে চায় আদালত। কিন্তু এবিষয়ে সিবিআইয়ের (CBI) আইনজীবী আদালতকে অবগত করতে না পারায় আপাতত শুনানি মুলতুবি রেখেছে আদালত।