‘পোশাক’ বিতর্কে সমালোচনার মুখে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St Xaviers University)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক অধ্যাপিকার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের (Instagram Post) জেরে তাঁকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করার পর থেকেই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অধ্যাপিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একচোখা নীতির বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta Highcourt) মামলা দায়ের করেছেন। অধ্যাপিকার অভিযোগের পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো সরগরম। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগেরও দাবি উঠেছে নেট দুনিয়ায় (Internet)। অনলাইনে (Online) চলছে সই সংগ্রহের কাজও। ইতিমধ্যে অজস্র মানুষ সেই পিটিশনে (Petition) সই করেছেন।
জেভিয়ার্সের উপাচার্য ফেলিক্স রাজের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন (Disciplinary Action) নেওয়ার দাবিতে Change.org নামে একটি প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে সই সংগ্রহের কাজ চলছে। পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়াতে (Social Media) ভিসির অপসারণ চেয়ে তৈরি হয়েছে কমিউনিটি পেজও (Community Page)। অজস্র মানুষ সেই পিটিশনে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করছেন। বেশিরভাগ মানুষের দাবি অবিলম্বে শিক্ষিকার কাছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্ষমা চাইতে হবে এবং উপাচার্যকে (Vice Chancellor) পদত্যাগ করতে হবে। ব্যক্তিগত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে সাঁতারের পোশাকে ছবি পোস্ট করার জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপিকাকে। ঘটনার কয়েক মাস কেটে গেলেও বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি।
অধ্যাপিকা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেওয়ার আগে ওই ছবিগুলি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দিয়েছিলেন তিনি, যা মাত্র ২৪ ঘণ্টার জন্য দেখা যায়। তাছাড়াও তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করা রয়েছে অর্থাৎ যে কেউ চাইলেই তাঁর ছবি দেখতে পারেন না। তবে সমস্ত কথা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও তাঁর কথা শোনেননি কেউই। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধেই নেমে আসে শাস্তির খাঁড়া। তবে বিষয়টিকে সহজে মেনে নিতে নারাজ অধ্যাপিকা। এর পিছনে অন্য কোনও ষড়যন্ত্র আছে বলেই মত তাঁর।
আরও পড়ুন:মানুষকে ঠকালে পাশে থাকবে না দল, জানাল তৃণমূল নেতৃত্ব