গরুপাচার কাণ্ডে অবশেষে CBI-এর জালে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। চিত্রনাট্য যেন আগে থেকেই রচিত ছিল। যখন জানা গেল বুধবার রাতেই বোলপুরে সিবিআই (CBI) -এর আধিকারিকরা চলে এসেছেন। বড়সড় কোনও পদক্ষেপ যে হতে চলেছে, সেটা আরও নিশ্চিত হয় যায়, যখন CBI-এর সঙ্গে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী বিভিন্ন গেস্ট হাউসে ওঠে। এরপর সকাল হতেই “খেলা শুরু”। বাইরে থেকে অনুব্রতর বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর বাড়ির ভিতর CBI অফিসারেরা ঢুকে পড়ে। ঘন্টাখানেকের টানটান উত্তেজনার পর CBI অনুব্রতকে। তাদের গাড়িতে করে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। ৪১এ নোটিশ ধরানো হয় অনুব্রতকে। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে তোলা হয়।
কিন্তু এটাকে আইনি ভাষায় “আটক” বলা হবে নাকি “গ্রেফতার”, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। জানা গিয়েছে, কোনও আরেস্ট মেমোতে সই নেই অনুব্রতর। তাঁর আইনজীবীদের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে এখনও “গ্রেফতার” বলা যাবে না, “আটক” করা হয়েছে তাঁদের মক্কেলকে।
সংবাদমাধ্যমকে বিশিষ্ট আইনজীবী অনির্বান গুহঠাকুরতা (Anirban Guhathakurta) বলেন, “এখনও পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতারির একটা পদ্ধতি রয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা তৈরি করা, তাঁর আইনজীবীকে জানান এবং নিকটবর্তী একজন আত্মীয়কে জানান। সিবিআই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ ধারায় নোটিশ দিয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী ন্যূনতম সময় দেওয়া দরকার। যেটা তাঁকে দেওয়া হয়নি। আমি নিশ্চিত ভাবে বলছি, গ্রেফতার করা হয়নি।”
অন্যদিকে, CBI-এর তরফেও সরকারিভাবে এখনও গ্রেফতারি বলে ঘোষণা করা হয়নি। আপাতত আটক করেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হবে। পরে পরিস্থিতি অনুযায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা তৈরি করা হতে পারে। তারপর সরকারিভাবে গ্রেফতারির কথা জানাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।