আইন আইনের পথে চলবে, অনুব্রত ইস্যুতে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদের

0
3

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর আরেক হেভিওয়েট নেতা অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় এজেন্সির জালে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে আজ, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে আটক করে সিবিআই। একটি মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। আবার অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, আইনি পদ্ধতি মেনে গ্রেফতার করা হয়নি তাঁদের মক্কেলকে। তবে টেকনিক্যালি আটক হোন বা গ্রেফতার, অনুব্রত এখন সিবিআই-এর জালে।

এই ঘটনায় যখন বাম-বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে, তখন অনুব্রতকে নিয়ে তাঁর দল তৃণমূলের কী অবস্থান এই মুহূর্তে? অনুব্রত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি হওয়ার পাশাপাশি তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতিতেও রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই পার্থর পর অনুব্রতর গ্রেফতারিতে কিছুটা অস্বস্তিতে শাসকদল। তৃণমূল নেতারা অবশ্য জানাচ্ছেন, আইন আইনের পথে চলবে। দল সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। যেমন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে হয়েছিল।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন “তৃণমূল কোনওরকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না। সম্প্রতি, এক অভিযুক্ত নেতাকে দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যেটা অন্য কোনও রাজ্যে হয় না, সেটা এরাজ্যে হয়েছে। আইন আইনের মতো চলুক। সঠিক সময়ে দল সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, তদন্ত ঢিমেতালে চলে। অনেক তদন্ত ১০-১২ বছরেও শেষ হয়নি। আমরা চাই, এই মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ হোক।”

আইন আইনের পথে চলুক বললেও, কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী এখনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্রে কোনও পদক্ষেপ হয়না। বেছে বেছে বিরোধী নেতাদেরকেই ধরে সিবিআই-ইডি।