বিকিনি পরা ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়েছিলেন অধ্যাপিকা। আর তা বারবার নিজের মোবাইলে দেখছিল ছাত্র। তাতেই চাকরি খোয়াতে হল অধ্যাপিকাকে। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ।যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে অধ্যাপিকা নিজেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:হাসপাতালের “রেফার রোগ’ সারাতে কড়া দাওয়াই স্বাস্থ্য দফতরের
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চাপেই চাকরি হারিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই অধ্যাপিকা। এমনকী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশেও নাকি অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অধ্যাপিকার আরও অভিযোগ তাঁকে ৯৯ কোটি ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ওই অধ্যাপিকা ইন্সটাগ্রামে তাঁর সুইমিং কস্টিউম পরা একটি ছবি আপলোড করেছিলেন। সেই ছবিটি দেখেই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত এক ছাত্রের বাবা অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে নালিশ জানান। অধ্যাপিকার পরিহিত ওই পোশাক ওই ব্যক্তির ‘আপত্তিকর’ বলেই মনে হয়েছে। ওই ছবি সোশ্যাল সাইটে দিলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলেও দাবি করেন ওই অভিভাবক।
যদি অধ্যাপিকার দাবি, তাঁর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টটি প্রাইভেট করা থাকায় কারও ইচ্ছে হলেই যে কেউ তাঁর ছবি দেখতে পারবেন না। এমনকী ওই পড়ুয়া বা তাঁর বাবারও তাঁর ছবি দেখতে পাওয়ার কথা নয় বলেই মনে করেন ওই অধ্যাপিকা। নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই ছবিটি তিনি একটি স্টোরিতে দিয়েছিলেন বলে জানান অধ্যাপিকা। তাঁর দাবি স্টোরিটি এমনিতেই ২৪ ঘণ্টা পর ডিলিট হয়ে যাওয়ার কথা। সেদিক থেকে দেখতে গেলেও তাঁর ওই ছবি ওই ছাত্র বা তাঁর বাবার দেখতে পাওয়ার কথা নয় বলেই মনে করেন তিনি।