আবারও নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক চিনে। ইতিমধ্যেই ভাইরাসের কবলে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন। দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। নয়া ভাইরাসটি ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস (Langya Henipavirus) নামে পরিচিত। তবে প্রাথমিক গবেষণার পর জানা গিয়েছে, বিভিন্ন প্রজাতির পশুর থেকেই এই ভাইরাসের (Virus) ছড়াচ্ছে।
তবে চিনের এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে শানডং এবং হেনান প্রদেশে। কিন্তু আশঙ্কার বিষয় হল খুব শীঘ্রই পশুদের থেকে মানুষের শরীরেও এই ভাইরাস বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে এই ভাইরাসটি সরাসরি একজন মানুষের থেকে অপর মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা যতটা কম ঠিক তেমনই কোনও পশুদের থেকে মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা ততটাই বেশি।
ভাইরাসের উপসর্গ
জ্বর (প্রধান লক্ষণ)
কাশি
ক্লান্তি ভাব
খিদে কমে যাওয়া
পেশীতে টান/ব্যথা
বমি বমি ভাব
মাথা ব্যথা
শ্বেত কণিকার পরিমাণ কমে যাওয়া
সম্প্রতি তাইওয়ানের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (CDC) এই নয়া ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি জানতে আরও বিশদে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। আর তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আক্রান্তদের নিউক্লিক অ্যাসিড (NucleicAcid) পরীক্ষার বিষয়টি। তবে সিডিসি জানিয়েছে, গৃহপালিত পশুর উপর যে স্যারোলজিক্যাল সার্ভে করা হয়েছিল তার রিপোর্ট অনুযায়ী ছাগলের মধ্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি রয়েছে ২ শতাংশ এবং কুকুরের মধ্যে রয়েছে ৫ শতাংশ। এছাড়াও আরও ২৫ টি বন্য প্রাণীর প্রজাতির উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে। যার ফলাফল হিসেবে জানা গিয়েছে শ্রু নামক একটি ইঁদুর প্রজাতির প্রাণী এই ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাসের আসল ধারক ও বাহক হতে পারে কারন ওই প্রাণীর মধ্যেই ভাইরাসটির উপস্থিতি প্রায় ২৭ শতাংশ পাওয়া গিয়েছে।
চিনের সানডং এবং হেনান প্রদেশে ইতিমধ্যে ৩৫ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬ জন সংক্রমিতের শরীরে অন্য কোনও রোগের জীবাণু নেই। আর যে ৩৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন তাদের মধ্যে কখনও কোনরকম যোগাযোগ ছিল না। এমনকি পরিবারের মধ্যেও এই ধরনের সংক্রমণ আগে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি। তবুও তাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন।