অতীতের তিক্ততা কাটিয়ে এবার বিহার রাজনীতিতে কাছাকাছি জেডিইউ- আরজেডি। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নীতীশ কুমার। তেজস্বী যাদবের হাত ধরে এবার নয়া সরকার গঠিত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই বিহারের রাজনৈতিক নাটক নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। নীতীশ কুমারকে উদ্দেশ্য করে তাঁর মন্তব্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
মঙ্গলবার নীতীশের সরকার ভাঙার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, “এদেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমি বলছি, সরকার পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হলে পাঁচ বছর পূর্ণ করুক।” তিনি আরও বলেন, “এতে আমার কোনও ভূমিকা নেই, কার সরকার গঠন হবে সেটা তার চিন্তা। কারণ আমি পক্ষেও না, বিরোধী দলেও নয়। রাজনৈতিক দলগুলির তাদের বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করা কিছু বিস্ময়কর বিষয়। আমি একজন সাধারণ নাগরিকের দৃষ্টিকোণ থেকে কী ঘটছে তা দেখছি এবং বিহারের জনগণের সঙ্গে দেখা করছি।”
প্রসঙ্গত ২০১৭ সাল পর্যন্ত, RJD-এর তেজস্বী যাদব এবং তাঁর দাদা তেজ প্রতাপ যাদব নীতীশ কুমারের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। জেডিইউ, লালু যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেসের সহায়তায় এই সরকার গঠিত হয়েছিল। বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এই জোট গড়েছিলেন নীতীশ কুমার। পরে তিনি তেজস্বী এবং তার ভাই তেজ প্রতাপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে জোট ত্যাগ করেন এবং বিজেপি জোটে ফিরে আসেন। এবার বিজেপি ছেড়ে তেজস্বীর হাত ধরে নতুন সরকার গড়তে চলেছেন নীতীশ।