ফের একবার কেন্দ্রের বঞ্চনার শিকার হল বাংলা। বৈঠকে ডেকে কার্যত অপমান করা হলো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি পালন করার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই উপলক্ষেই শনিবার অনুষ্ঠান কর্মসূচি ঠিক করতে সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে সেই বৈঠকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হলো না মুখ্যমন্ত্রীকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এদিনের বৈঠকে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের বলার সুযোগ দেওয়া হলেও বাংলার তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে উপেক্ষিত রেখে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয় রাজ্যপাল লা গণেশনকে। এই ঘটনাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে মুখ্যমন্ত্রীকে উপেক্ষা করে সদ্য যোগ দেওয়া বাংলার রাজ্যপালকে কীভাবে বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি নিয়ে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হলো? এবং কোন যুক্তিতে অপেক্ষা করা হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে, যার জন্ম বাংলাতে এবং বাংলাতেই বড় হয়ে ওঠা। বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতি সম্পর্কে যিনি অতিথি রাজ্যপালের তুলনায় অনেক বেশি অবগত। রাজনৈতিক দিক থেকেই যদি বলা যায় সেক্ষেত্রে, ৪০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ৭ বার সাংসদ হয়েছেন তিনি, তিনবার মুখ্যমন্ত্রী পাশাপাশি একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। মোদির বৈঠকে ডেকে তাঁকে এভাবে অপমান করার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে ক্ষুব্ধ রাজ্যবাসী। একই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলের দাবি, নির্বাচনে হেরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত ইচ্ছাকৃতভাবেই বাংলা ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হয়েছে এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন- জাদুঘরের পাশে CISF-র বারাকে শুটআউট: মৃত ১ এএসআই, আহত ১, ধৃত অভিযুক্ত








































































































































