রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শাহের কাছে নালিশ জানাতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী(Home Minister) অমিত শাহের(Amit Shah) সঙ্গে ৪৫ মিনিটের বৈঠকে বঙ্গ বিজেপির(BJP) ভাঙন নিয়ে পাল্টা বকা খেলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক ইস্যুতে বঙ্গে বিজেপির আগামী রণনীতি নিয়ে শুভেন্দুকে বেশকিছু পরামর্শও দিয়েছেন শাহ।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ৩ টি বিষয় নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমত শুভেন্দু জানান, রাজ্যসরকার দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই কেন্দ্রের তরফ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। দ্বিতীয়ত তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যেন এই তদন্তের রাশ আলগা না করে। এবং সবশেষে শুভেন্দু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে পরামর্শ দেন যত দ্রুত সম্ভব সিএএ লাগু করা হোক। সিএএ লাগু হলে রাজ্যে বিজেপির ভোট বাড়বে। তবে শুভেন্দুর পরামর্শ মন দিয়ে শোনার পর রাজ্য বিজেপির বেহাল দশা নিয়ে নিয়ে তাঁকে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েননি শাহ। স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপির মধ্যে সমন্বয়ের চুড়ান্ত অভাব। দলের উপর উপদল চলছে।
শুভেন্দুকে কড়া সুরে অমিত শাহ জানান, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বিজেপির কাছে অন্যতম বড় একটি রাজনৈতিক অস্ত্র। সেটাকে ব্যবহার করতে হবে। রাজনৈতিক কর্মসুচি করতে হবে। তবে দলের মধ্যে উপদল যেন না থাকে। সকলকে একত্রে মাঠে নামতে হবে। দলে সমন্বয়ের অভাব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে। আলাদা আলাদা ভাবে যেন মিছিল বের করা না হয়। যে কোনওরকম লবি সরিয়ে সংগঠনকে ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি, শুধু অভিযোগ না জানিয়ে সকলকে নিয়ে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার জন্য কড়া নির্দেশ দেন শাহ। সব মিলিয়ে নালিশ জানাতে গিয়ে শাহের কাছে বঙ্গ বিজেপির বেহাল অবস্থা নিয়ে পাল্টা বকা খেলেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে শাহের কাছে অভিযোগ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতাকে পালটা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, শুভেন্দুর মুখে দুর্নীতির কথা মানায় না। শুভেন্দুর নিজের নাম সারদা মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআর-এ আছে। ওর উচিত তদন্তে স্বচ্ছতার খাতিরে আত্মসমর্পণ করা। কুণালবাবুর বক্তব্য, এজেন্সি থেকে বাঁচতেই শুভেন্দু বিজেপিতে গিয়েছেন। ও একটা চোর, তোলাবাজ, মেরুদণ্ডহীন। তাঁর কথায় গুরুত্ব দেওয়ার কোনও মানে নেই। পাশাপাশি সিএএ প্রসঙ্গে বলেন, দেশে মূল্যবৃদ্ধি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মানুষ খেতে পাচ্ছে না। এই বিষয় থেকে বিজেপি নজর ঘোরাতে সিএএ নিয়ে লাফালাফি করছে। মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।
















































































































































