রবিবার মধ্যরাতে কমনওয়েলথ গেমসে (Commonwealth Games) সোনার পদক জিতেছেন বাংলার অচিন্ত্য শিউলির ( Achinta Sheuli)। ভারোত্তোলনে সোনা জেতেন অচিন্ত্য। ভারোত্তোলনে ছেলেদের ৭৩ কেজি বিভাগে গেমসে রেকর্ড গড়ে সোনা জয় করেন তিনি। তবুও এই জয় পেয়ে খুশি নন হাওড়ার দেউলপুরের ছেলে। পদক জয়ের পর এমনটাই জানান অচিন্ত্য।

পদক জয়ের পর অচিন্ত্য বলেন,” আমার লড়াই ছিল নিজের সঙ্গে। সোনা জিততে আসিনি। নিজেকে রেকর্ড টপকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। সেটা পারিনি বলে খারাপ লাগছে। এই পদক আমি আমার দাদা এবং কোচকে উৎসর্গ করছি। বাবা মারা যাওয়ার পর দাদা আমার জন্য সব কিছু করেছে। নিজে ভারোত্তোলন করত। আমাকে তৈরি করার জন্য ছেড়ে দিয়েছে।”
হাওড়ার দেউলপুরের ভাঙাচোরা টালির বাড়িতেই দিনের পর দিন স্বপ্ন বুনেছেন অচিন্ত্য। সোমবার সকাল থেকে সেই বাড়িই আলোচনার কেন্দ্রে। অচিন্ত্যর বাড়ি দেখতে আসছেন বহু মানুষ। ছেলের এই কৃতিত্বে খুশি অচিন্ত্যের মা পূর্ণিমা শিউলি। তিনি বলেন, “স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে খুব কষ্টে দিন কেটেছে। দুই ছেলেকে নিয়ে জরির কাজ করে কোনও রকমে দু’টো ভাত জুটত। ভালো লাগছে। আরও এগিয়ে চলুক ও।” পদক জয়ের পর সোনার পদক অচিন্ত্য উৎসর্গ করেছেন তাঁর দাদা অলোক শিউলিকে। ভাইয়ের সাফল্যে তিনি বলেন,”ভাই পরিশ্রমের ফল পেয়েছে। অনেক লড়াই, অনেক কষ্ট করতে হয়েছে ওকে।”
আরও পড়ুন:বাংলার অচিন্ত্যকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর
















































































































































