কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে শহরে হ্যাকিং প্রতিযোগিতা, তাক লাগালো বাংলার ২ পড়ুয়া

0
1

প্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীতে বর্তমান সময়ে হ্যাকারদের দাপটে নাভিশ্বাস উঠছে আমজনতার। মুহূর্তের অসাবধানে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। সময়ের দাবি মেনে প্রথমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বেসরকারি উদ্যোগে কলকাতা পুলিশের তরফে আয়োজিত হল এথিক্যাল হ্যাকিং প্রতিযোগিতা ‘হ্যাকাথন’। শুক্রবার এই হ্যাকিং প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল ৪০০ জন প্রতিযোগী তাঁদের মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল দুই বাঙালি পড়ুয়া মালদহের সৈয়দ মোদাস্সির আলি ও উত্তর শহরতলির সোদপুরের দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দুই বিজয়ীর হাতে দেড় লাখ টাকার পুরস্কার তুলে দিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য ও কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। ছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ হৃত্বিক লাল।

নিজেদের ফেসবুক পেজে কিছুদিন আগেই কলকাতা পুলিশ জানায়, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম ১০ জনকে দেওয়া হবে বিশাল অঙ্কের নগদ পুরস্কার। বিজয়ী পাবেন দেড় লাখ টাকা। দ্বিতীয় পুরস্কার ১ লাখ টাকা। প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থানাধিকারী পাবেন ৭৫ হাজার টাকা। এখানেই শেষ নয়, সাত জনকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১০ জন প্রতিযোগীকে সুযোগ দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে ইন্টার্নশিপ হিসেবে কাজ করার। এদিনের প্রতিযোগিতায় প্রথম ১০ টিমের ১৯ জন প্রতিভাবানের নাম প্রকাশ করেছে কলকাতা পুলিশ। প্রথম টিমে সৈয়দ মোদাস্সির আলি ও দেবজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কোর ১১০। একই স্কোর করে তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে অবিনাশ। শুধু ধাপটি শেষ করতে তাঁর একটু বেশি সময় লেগেছে। ১০০ স্কোর করে তৃতীয় হয়েছেন সৌম্য মুখোপাধ্যায় ও সৌরভ কার্জি।

এই অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, সাইবার ক্রাইম দিনে দিনে বহুমুখী ও ব্যাপক হয়ে উঠছে। এই ধরনের অপরাধের জেরে মানুষের জীবনেও যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে হবে যেখানে বেসরকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা বিভাগের হাতে হাত রেখে এই ধরনের অপরাধের মোকাবিলা করা যায়। আমরা আশা করব হ্যাকাথন সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটা আশাজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে সক্ষম হবে। বেসরকারি সংস্থা ও পুলিশ হাতে হাত রেখে এই ধরনের অপরাধ মোকাবিলায় সক্ষম হবে। পাশাপাশি IEMLabs-এর প্রধান টেকনিক্যাল অফিসার হৃত্বিক লাল বলেন, প্রথমবার আয়োজিত এই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ সত্যি প্রশংসনীয়। কলকাতা পুলিশের এমন উদ্যোগে দক্ষ প্রযুক্তি বিশারদ প্রদান করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা হ্যাকাথন প্রতিযোগিতার ডিজাইন করেছেন। এই হ্যাকাথন আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হল সাইবার-ক্রাইম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।