দুর্নীতি ধরে ফেলেছিল বলেই অভিষেকের নামে কুৎসা শুভেন্দুর, এজেন্সি গেলে গুপ্তধন মিলবে: কুণাল

0
1

রাজ্য সরকার বা শাসক দল তৃণমূলে এখন অতীত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থর একের পর এক কেচ্ছা বেরিয়ে আসার পর প্রথমে মন্ত্রিসভা ও পরে দলের সমস্ত পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে পার্থকে।। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে ফিরতে পারলে ফের দলে ঠাঁই হবে, নতুবা নয়। তাই আপাতত পার্থ পর্বকে দূরে সরিয়ে ফের দুর্নীতি অস্ত্রে পালটা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে তোপ দেগেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আরও সুর চড়িয়ে একাধিক অভিযোগে শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছেন। কুণালের দাবি, সঠিক পথে তদন্ত হলে শুভেন্দুর কাছ থেকে ”গুপ্তধন” পাবে এজেন্সি।

পার্থকে অপসারণের ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই আজ,
শুক্রবার সকালে একটি টুইট করে কুণাল দাবি করেছেন, তৃণমূলে থাকাকালীনই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল। বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে যখন শুভেদু ছিল, তখন ওইসব জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে শুরু করে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শুভেন্দুর নামে নানা তথ্য আসছিল। দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে তখন একাধিক জেলা পর্যবেক্ষকের পদ থেকে শুভেন্দুকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। নিজেকে বাঁচাতে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে জার্সি বদল করে শুভেন্দু এখন বিরোধী দলনেতা হয়েছে।

এদিন টুইটে কুণাল লেখেন, “শুভেন্দু নিয়ে কিছু গুরুতর অভিযোগ আসছিল বলেই ওকে একাধিক জেলা পর্যবেক্ষক থেকে সরায় অভিষেক। তথ্য আসা শুরু হয়েছিল। বাঁচতে ও দলবদল করে। এজেন্সি গেলে গুপ্তধন পেত। চোর তোলাবাজ শুভেন্দু সেসব রাগেই অভিষেককে আক্রমণ করে। নারদা, সারদাতে ওর গ্রেফতার চাই। বিজেপি চোরকে বাঁচাচ্ছে।”

উল্লেখ্য, নারদার এফআইআর-এ নাম থেকে সম্প্রতি সারদা কেলেঙ্কারি, শ্মশান চুরি-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। কিন্তু কোনও এক অজানা কারণে শুভেন্দুকে ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখছে না ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি। বিজেপিতে যোগ দিয়েছে বলেই কি ছাড় শুভেন্দুকে? প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল।

আরও পড়ুন:আদালতের নির্দেশ মেনে আজ ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা পার্থ-অর্পিতার