সংসদের(Parliament) বাদল অধিবেশনে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলে রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) সরব হন বিরোধী দলের সাংসদরা। যার জেরেই রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাত সদস্য সহ বিরোধী দলের মোট ১৯ জনকে সাসপেন্ড করেন ওম বিড়লা। এরই প্রতিবাদে টুইটে সরব হল তৃণমূল। এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন (Derek O’ Brien) টুইটে লেখেন, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সংসদে আলোচনা না করে রাজ্যসভার বিরোধী দলের ১৯ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার জন্য সরকার দুঃখ প্রকাশ করুক।

এই ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়েছে, আমাদের সংসদ সদস্যদের বরখাস্ত না করে, সরকারের উচিত লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা! আমাদের সাংসদরা আজ সংসদের বাইরে বিক্ষোভ করছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে বিজেপি-কে আক্রমণ করে বলা হয়েছে, সাংসদদের সাসপেন্ড করে তৃণমূলকে চুপ করানো যাবে না৷ তৃণমূলের অভিযোগ, বিরোধী সাংসদরা মানুষের সমস্যাগুলিই তুলে ধরার চেষ্টা করছেন৷ তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের অভিযোগ, সরকারই সংসদের কাজ ঠিক মতো হতে দিচ্ছে না৷ তিনি কটাক্ষ করেন, ‘মোদি-শাহ গণতন্ত্রকেই সাসপেন্ড করে দিয়েছেন, সাংসদদের আর কী করবেন!’ তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এতদিন কংগ্রেস মুক্ত ভারতের কথা বলত বিজেপি৷ এখন তারা বিরোধী মুক্ত ভারত করতে চাইছে৷
উল্লেখ্য, গতকাল তৃণমূলের যে সাত সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুস্মিতা দেব, শান্তা ছেত্রী, শান্তনু সেন, দোলা সেন, নাদিমুল হক, মৌসম নুর এবং আবির রঞ্জন বিশ্বাস৷ মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবি তুলে রাজ্য সভায় সরব হন তৃণমূল সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের সাংসদরা৷ সংসদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করেন চেয়ারম্যান৷ তৃণমূলের পাশাপাশি তালিকায় ছিল ডিএমকে, সিপিআই, সিপিএম এবং টিআরএসর বেশ কয়েকজন সাংসদ। এর পাশাপাশি বুধবার এক আপ সাংসদকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
















































































































































