লাফিয়ে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উপরেও বসানো হচ্ছে জিএসটির(GST) খাঁড়া। সেই ইস্যুকেই হাতিয়ার করে সোমবার লোকসভায় প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কংগ্রেস(Congress)। আর তার জেরেই সাসপেন্ড(Suspend) হলেন লোকসভার(Lokshava) ৪ কংগ্রেস সাংসদ। জানা গিয়েছে, সাসপেন্ডেড ৪ কংগ্রেস সাংসদের নাম মানিকাম ঠাকুর, যথিমণি, রম্য হরিদাস এবং টি এম প্রতাপণ। সোমবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা চার সংসদকে পুরো বর্ষাকালীন অধিবেশন থেকেই সাসপেন্ড করেছেন বলে খবর।
সাংসদদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এদিন সংসদ ভবনের ভিতরেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখান। হই-হট্টগোলে সরগরম হয়ে ওঠে সংসদ ভবন। এরপরই সাংসদদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেন স্পিকার।
তবে স্পিকারের এমন কড়া পদক্ষেপের পরই পার্লামেন্ট গ্রাউন্ডে থাকা গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কংগ্রেসের সাসপেন্ডেড সাংসদরা। কংগ্রেসের দাবি সাধারণ মানুষের জ্বলন্ত সমস্যাগুলোকে তুলে ধরতে সাংসদরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছিল। আর তার জেরেই দলের ৪ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হলো। লোকসভায় কংগ্রেসে সাংসদ সৌরভ গগৈ বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি এবং ময়দা ও দুগ্ধজাত একাধিক দ্রব্যের উপর জিএসটি চাপানোর কারনে দলের সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। আমরা অনেক আগে থেকেই আলোচনা চেয়ে স্পিকারকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম কিন্তু সেই বিষয়ে কোনও সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুন-তীর্থযাত্রীদের পায়ে ‘পেইন রিফিল’ মাখাচ্ছে পুলিশ, যোগীর পুলিশের কাণ্ডে ব্যাপক বিতর্ক
উল্লেখ্য, লোকসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের আগেই সংসদ চত্বরে বিরোধীদের বিক্ষোভ প্রশমনের একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়। আর সেই সমস্ত নির্দেশাবলী না মানলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। আর সেই পথ ধরেই এদিন কংগ্রেসের ৪ সাংসদকে সাসপেনশনের পথে হাঁটলেন স্পিকার। ওম বিড়লা জানান, যদি বিক্ষোভ দেখাতেই হয় সংসদের বাইরে গিয়ে দেখান, ভবনের ভিতর এসব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।








 
 
 
 
 
 
 































































































































