সারা বিশ্বের চোখ এখনও শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) দিকে। প্রতিবেশী দেশের প্রশাসনিক ক্ষমতার বিরুদ্ধে জনগণের প্রবল ক্ষোভ দেখে অবাক বিশ্ব। এবার কি তবে সেই একই ঘটনা ঘটতে চলেছে আরেক পড়সি রাষ্ট্র পাকিস্তানে (Pakistan)? এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)।
জ্বালানির সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। সিঁদুরে মেঘ দেখছেন রাজনীতিবিদরা, ইসলামাবাদের (Islamabad)সংকটের আঁচ কি ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে? শ্রীলঙ্কার মতোই পাকিস্তানের রাজপথেও এবার পাক নাগরিকরা বিক্ষোভ দেখাতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। সূত্রের খবর দেশের আর্থিক সংকট যাতে চরমে না পৌঁছয় সেই ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করেই এবার দেশের সম্পত্তি বিক্রির পথে হাঁটতে চলেছে পাকিস্তান সরকার (Pakistan Government)। শনিবারই এই সংক্রান্ত নতুন অর্ডিন্যান্স পাশ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য করোনা ভাইরাসের জেরে পাক অর্থনীতি কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে আমদানি রফতানির মধ্যে সামঞ্জস্য থাকছে না। যার ফলে বিদেশি মুদ্রার ব্যয়ের পরিমাণ আয়ের চাইতে বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এক অস্থির পরিস্থিতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ দুই-ই ভেঙে পড়েছে। নয়া অর্ডিন্যান্সের ফলে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে দেশের সম্পত্তিকে বিদেশে বিক্রি করার সময় যদি কেউ আপত্তি করে বা প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা করে, সেক্ষেত্রে পিটিশন দাখিল করলেও আদালত সেটাকে গ্রাহ্য করবে না। আপাতত ২ বিলিয়ন থেকে ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়ে দেশের তেল ও গ্যাস সংস্থার শেয়ার ও সরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র আরব সংযুক্ত আমিরশাহীকে বিক্রি করে বিদেশি মুদ্রা বাড়াতে মরিয়া পাকিস্তান। আর তার আগেই আনা হল এই পরিবর্তন। এই পরিস্থিতিতে ইমরান খান অভিযোগ করছেন, আসিফ জারদারি ও শরিফ পরিবারের লোকেরা তাঁদের অবৈধ সম্পত্তি বাঁচাতে তিন মাসের মধ্যেই পাকিস্তানকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে।












































































































































