বর্ষায় বিয়ে, কীভাবে করবেন ব্রাইডাল মেক আপ

0
3

সৌন্দর্য ব্যাপারটাই আলাদা। নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে চান সবাই। ঝকঝকে দুনিয়ায় নিজে প্রেজেন্ট করার মত গুণ আর রূপের ঝলক নিয়ে চর্চা দোষের নয়। আসলে নিজের সাজের মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলাটাই আসল।

আরও পড়ুন:IRCTC: যাত্রী সুবিধার্থে বড় পদক্ষেপ, খাবারের দাম কমালো রেল

ভরা বিয়ের মরশুমে নতুন পরিবারের অংশীদার হওয়ার চাপা টেনশনের পাশাপাশি বিয়ের দিনের সাজগোজের উন্মাদনা কিছুতেই এড়িয়ে যাওয়া যায় না। আর কনে হলে কোনও কথাই নেই, সেরার সেরা হতেই হবে, তাই তো? বেশ সাজের কিছু টিপস এক দেওয়া হোক এই পাতায়।

সবার আগে বলে রাখা দরকার যে সৌন্দর্য আর গ্ল্যামার কিন্তু এক নয়। শিশু সুন্দর, এর জন্য তাকে সাজাতে লাগে না। ভেতর থেকে ভালো মানুষ হয়ে সমৃদ্ধ থাকলে সাজ টা সেকেন্ডারী হয়ে যায়। মন ভালো রাখুন, মুখের সাজ মেক আপ দিয়ে ম্যানেজ হবে।  ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিন আজ থেকেই। মুখ পরিস্কার রাখুন। ভালো ব্র্যান্ডের ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোওয়া কিন্তু অবশ্যই জরুরি।আপনি যদি বিয়ের কনে হন তাহলে, বিয়ের এক মাস আগে থেকে নিয়মিত মুখের ত্বক হাইড্রেটেড রাখলে মেকআপ ভালো স্যুট করে । ফাউন্ডেশন বাছার ক্ষেত্রেও বিশেষ নজর দিন। নয়তো পুরো সাজটাই বিগড়ে যাবে। শুধু তাই না, ত্বকের সঙ্গে শেড মানানসই না হলে বিগড়ে যাবে মেকআপের বেস। ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার সময় নজর রাখুন পুরো মুখ এবং গলার ত্বক কভার হচ্ছে কিনা। স্কিনটোন উজ্জল করতে কিন্তু এটিই ভরসা। বেস মেকআপ-এর পর এবার পালা ডিটেইলস এর। ব্লাশার ব্যবহার করার আগে আপনার পোশাকের দিকে একবার তাকান। ব্লাশারের রঙ ম্যাচ না করলে আপনাকে কিন্তু মোটেই আকর্ষণীয় লাগবে না। চোখের নীচ থেকে শুরু করে কানের শেষ পর্যন্ত তেরচা করে লাগান ব্লাশার। এতে ডিটেইলিং পাবে চিকের অংশও। আপনার মুখকে আরও নজরকাড়া করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন হাইলাইটার।

এবার চোখের কথা চোখে চোখে না বলে সোজাসুজি লেখা যাক , তবেই তাতে চোখ পড়বে আপনার। মুখের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অঙ্গ হল চোখের মেক অ্যাপ। আর ব্রাইডাল মেকআপ-এর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পার্ট কিন্তু চোখকে সাজিয়ে তোলা। প্রথমেই সুন্দর করে এঁকে নিন আইব্রো’স। এক একরকমের ব্রাইডাল মেকআপ-এ এক একরকম চোখের সাজ হয় । তাই খেয়াল রাখুন আপনি কেমন চোখের সাজ চাইছেন। এই যেমন ধরুন, ব্রাইট গ্লসি আইস্ না ম্যাট লুক নাকি শুধুই হাইলাইটেড আইস্। সেই অনুযায়ী কথা বলে নিন আপনার মেকআপ আর্টিস্ট এর সাথে। চোখের সাজে আইশ্যাডোর ব্লেন্ডিং কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। দেখবেন পোশাকের সাথে যেন আইশ্যাডোর কম্বিনেশন ম্যাচড হয়। খেয়াল রাখুন লাইনার আঁকার সময়ও। মুখের সাজের সঙ্গেসাথে যেন বেমানান মনে না হয়। চোখের নিচে ব্যবহার করতে পারেন হাইলাইটার। চোখের পাতা ছোট হলে চিন্তা করবেন না।আইল্যাশ কার্লার দিয়ে আলতো কার্ল করে নিন আইল্যাশ।এতে বড়ো দেখাবে চোখের পাতা এবং অনায়াসে লাগাতে পারবেন মাস্কারা।

এবার ঠোঁটের সাজ। আপনার মেক আপ সম্পূর্ন হয় না যদি ঠোঁট রাঙা হয় মানানসই রঙে। আপনার সম্পূর্ণ সাজ যদি হালকা ধাঁচের হয়, তবে বেছে নিতে পারেন গাঢ় লাল অথবা মেরুন লিপস্টিক। পোশাকের রঙ এবং সাজের সঙ্গে ম্যাচ করছে, এমন লিপ কালারই বাছুন। প্রফেশনালদের মতে যদিও কনেসাজের সবচেয়ে ভালো লিপ কালার হল সফ্ট কোরাল বা গোলাপি। লিপ কালার লাগানোর আগে স্টেইনও ব্যবহার করতে পারেন এতে ঠোঁটের রঙ অনেকক্ষণ থাকবে। হালকা লিপ গ্লস ব্যবহার করেন অনেকেই।

মুখের মেক আপ কে ফুটিয়ে তোলে হেয়ার স্টাইল। সেটা আপনার পরনের পোশাকের সঙ্গে মানানসই করে নিন, স্পেশালিস্ট এর সঙ্গে কথা বলে। আর হ্যাঁ বারোমাস চুলের যত্ন নিন। চুল প্রাকৃতিক ভাবে ভালো হলে, স্টাইলের এক্সপেরিমেন্ট করতে সুবিধা হয় বটে। নিজেকে সুন্দর করে তুলুন ভাবনা আর কর্মে। বাকিটা মেক আপ সামলে নেবে, কী বলেন?