কথা ছিল শিয়ালদহ মেট্রো উদ্বোধন(Sealdah Metro) করতে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(NarendraModi)। সেইমতো সারা হয়ে গিয়েছিল সমস্ত রকম প্রস্তুতি। তবে প্রধানমন্ত্রীর(Prime minister) সময় পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে করতে কেটে গেল ৩টি মাস। পরিষেবা শুরু করার জন্য ১০০ শতাংশ প্রস্তুত হয়েও উদ্বোধনের অপেক্ষায় পড়ে রইল স্টেশন। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী তো এলেনই না! আচমকা জানা গেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি(Smriti Irani) এর উদ্বোধন করবেন।১১ জুলাই উদ্বোধন করেন তিনি। ১৪ জুলাই থেকে শুরু হয় যাত্রী পরিষেবা। তবে প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায় থেকে মেট্রোর ক্ষতি হল প্রায় ১০ কোটি টাকা।

গত ২৪ মার্চ কমিশন অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশন চালুর ছাড়পত্র দেয়। কিছু জরুরি কাজের জন্য আরও তিন সপ্তাহ সময় লাগে। ১৪ এপ্রিল থেকে শিয়ালদহ মেট্রো যাত্রী পরিষেবার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। সেই জায়গায় গত বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ মেট্রো চালু হয়েছে। তারপর টিকিট খাতে মেট্রোর আয় বেড়েছে ১০ গুণেরও বেশি। সেই হিসেবে এই খাতে প্রতি মাসে গড়ে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা লোকসান করেছে রেল। তিন মাসে তা প্রায় সাড়ে ৬ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, তৈরি হয়ে যাওয়া স্টেশনের বিবিধ পরিকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, কর্মীদের বেতন সহ একাধিক খাতে দৈনিক প্রায় ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এই খাতে তিন মাসে প্রায় আড়াই কোটি টাকা গচ্চা গিয়েছে মেট্রো কতৃপক্ষের। তাছাড়া, এই সময়কালে শিয়ালদহ স্টেশনের দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার হাত থেকে মেট্রো নিজের হাতে নেয়নি। এর জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা বড় অঙ্কের অর্থ দাবি করেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতি রেলের।
ক্ষতির হিসেব শুধু এখানেই শেষ নয়, বিলম্বিত সূচনার জেরে ৯ লক্ষ শ্রমদিবস নষ্ট হয়েছে। কারণ, শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ যেতে মেট্রোতে সময় লাগছে ২১ মিনিট। সড়ক পথে ২ ঘণ্টা লাগে। শিয়ালদহ চালুর পর ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রীসংখ্যা ৩ হাজার থেকে বেড়ে ৩১ হাজার হয়েছে। তিন মাস এই লোকজনের দৈনিক ১০০ মিনিট সময় নষ্ট হয়েছে। তৈরি হয়েছে তীব্র যানযট। যদিও তা টাকার অঙ্কে হিসাবযোগ্য নয়।












 

































































































































