মহামারির আবহেও নজর কাড়ল জর্জ টেলিগ্রাফের ‘প্লেসমেন্ট ফেয়ার’

0
1

এই অভিজ্ঞতা শুধু সোদপুরের দেবাশিস রায়ের নয়। সবার! তখন অবশ্য দেবাশিস সোদপুরে থাকতেন না। থাকতেন বাঁকুড়ায়। সবে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। কী করবেন, বুঝে উঠতে পারছিলেন না। বাকি অভিজ্ঞতাটা দেবাশিসের মুখ থেকেই শোনা যাক।

“যারা খুব ভাল ছাত্র, উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর চলে যায় ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে। কিন্তু আমাদের মধ্যে মধ্য মেধার ছাত্র-ছাত্রীরা তা হলে কী করবে? আবার যারা ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিং লাইনে যায় না, ভালো ছাত্রদের সেই সংখ্যাটা চলে যায় ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স নিয়ে পড়ার জন্য। আর আমাদের মত মধ্য মেধারা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলে জীবনের অন্ধ গলিতে। আর তাদের জীবনের আলো দেখানোর জন্য রয়েছে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট”, জানিয়েছেন দেবাশিস।

করোনা ভাইরাসের আবহে সারা বিশ্বের অর্থনীতি কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। তা নিয়ে চিন্তিত সবাই। যার মধ্যে আমাদের দেশও আছে। ইতিমধ্যেই চারদিক থেকে খবর পেয়েছি বিভিন্ন কারখানা, অফিসে দেদার ছাঁটাই। অধিকাংশ জায়গাতেই কমানো হয়েছে বেতন। আবার কোথাও কোথাও বেতনই হয়নি। এই সময়ে নতুন চাকরির কথা শোনা অবাস্তবই নয়, কল্পকাহিনির মতো শোনাবে। আর জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (George Telegraph Training Institute) বোধহয় এই জন্যই আর সবার থেকে আলাদা।

চাকরি নামের এই মরীচিকার বাজারেও নতুন চাকরির সংস্থান করার জন্য অনুষ্ঠিত হল ‘ প্লেসমেন্ট ফেয়ার’ ( Placement Fair)। নিয়োগকর্তারা জর্জের ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরির ইন্টারভিউ নিলেন। যা এই মুহূর্তে শোনাচ্ছে অনেকটা অবাস্তবের মতই। কিন্তু জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট তার ছাত্র–ছাত্রীদের জীবনের পথে প্রতিষ্ঠা পাওয়ানোর জন্য অঙ্গীকার বদ্ধ। আর এই প্লেসমেন্ট ফেয়ার থেকে জর্জের কিছু ছাত্র–ছাত্রী যে চাকরির এই দুর্মূল্যের বাজারেও নতুন করে চাকরি পাবে, বলাই বাহুল্য।

জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন ছাত্র দেবাশিস দাস ‘কেরিয়ার মাইডিয়া ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড’–এর পক্ষে এ রকমই একজন রিক্রুটার। যিনি প্রতিবছর জর্জ থেকে নির্বাচিত ছাত্র–ছাত্রীদের নিয়োগ করেন, নিজেদের কোম্পানির জন্য। তবে তাঁরও এই পজিশনে উঠে আসার পিছনে ছিল জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের এক বিশাল ভূমিকা। যা তিনি নিজেও স্বীকার করেন।
জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট না থাকলে হয়তো এই জায়গায় উঠে আসতেই পারতাম না। সে দিন ঝাড়গ্রাম থেকে কলকাতায় চলে এসে জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ভরতি হয়ে যাওয়াটাই জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। আর এখন আমি সেই জর্জ থেকেই প্রতি বছর বহু শিক্ষার্থী রিক্রুট করি। এটাই বোধহয় জীবনের পরম পাওনা।”
একশোর বেশি কোম্পানি জর্জের ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার জন্য উপস্থিত ছিল এই জব ফেয়ারে।
এই প্লেসমেন্ট ফেয়ার জর্জের শিয়ালদহ মেন শাখাতে অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের টেকনিক্যাল এডুকেশন এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী ড: হুমায়ুন কবীর, দ্য জর্জ টেলিগ্রাফ ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি প্রিন্সিপাল গোরা দত্ত, ট্রাস্টির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুব্রত দত্ত সহ অন্যান্যরা।
হুমায়ুন কবীর বলেন, জর্জ টেলিগ্রাফের মতো ১০২ বছরের প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের গর্ব। মহামারির আবহেও যেভাবে তারা ছাত্র-ছাত্রীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন তা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়।
জর্জ টেলিগ্রাফের ডিরেক্টর সুব্রত দত্ত বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীর কেরিয়ারকে নিশ্চিত করা এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া। কারিগরি শিক্ষায় পূর্ব ভারতে জর্জের জুড়ি মেলা ভার। এরই পাশাপাশি আছে পূর্ব ভারত জুড়ে প্লেসমেন্টের অসামান্য রেকর্ড। আমরা মান্যতা দি ‘সবার জন্য চাকরি’ এই স্লোগানকে।

আরও পড়ুনঃ বঙ্গভঙ্গের ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করছে RSS, “উত্তরবঙ্গ”-কে কেন্দ্র শাসিত করার চক্রান্ত বিজেপির
জর্জ টেলিগ্রাফ শুধুমাত্র ছাত্র-ছাত্রীদের কারিগরি শিক্ষাই দেয় না, শিক্ষা শেষে তাদের চাকরি খোঁজার জন্য যেন চিন্তা করতে না হয়, তারও ব্যবস্থা করে।
পূর্ব ভারতে প্রায় ৭০ টি শাখা রয়েছে এই সংস্থার।
জর্জ টেলিগ্রাফ এর প্রত্যেকটি কোর্স ভারত সরকারের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং আন্তপ্রেরণশিপ মন্ত্রকের অধীনস্ত। জর্জ টেলিগ্রাফের আরো অনেকগুলি কোর্স নেতাজী সুভাষ বোস ওপেন ইউনিভার্সিটি এবং ইউজিসির অনুমোদনপ্রাপ্ত।

যে কোনও তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন – ৮৩৩৪৮৫৫৩৩৯