এনআইআরএফ ব়্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বভারতী ৯৮ ! এই অধঃপতনের কারণ কী ?

0
3

এনআইআরএফ (National Institutional Ranking Framework) এর  ব়্যাঙ্কিং’য়ে রাজ্যের দুই বিশ্ববিদ্যালয় যখন সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছে, তখন ব্যাপক অধঃপতন হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৷২০২১-এ এনআইআরএফ ব়্যাঙ্কিংয়ে রবীন্দ্রভারতীর স্থান ছিল ৬৪ । শুক্রবার প্রকাশিত ব়্যাঙ্কিংয়ে দেশের সেরা ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় কোনওক্রমে টিকে রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ৷ নামতে নামতে এখন ৯৮ নম্বরে ।

অথচ এদিন এনআইআরএফ প্রকাশিত ব়্যাঙ্কিংয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থানে এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে অষ্টমস্থানে রয়েছে,। সেখানে কবিগুরুর স্বপ্নের বিশ্বভারতীর এই অধঃপতনে নিন্দার ঝড় সর্বত্র।গত বারের তুলনায় আরও কেন পিছিয়ে গেল বিশ্বভারতী ? সেই প্রশ্নও উঠেছে।

বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,  র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে আসার জন্য ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। সহকর্মীদের পাশে পাচ্ছি সব সময়। আশা করা যায়, সামনের বছরে আমাদের র‌্যাঙ্কিং অনেকটা এগিয়ে যাবে। কিন্তু তিনি যতই সাফাই দিন না কেন, ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতীতে এখন পড়াশোনার চেয়ে আন্দোলন বেশি। কোনও না কোনও ইস্যুতে ঝামেলা লেগেই আছে।উপাচার্য হিসাবে তা সামাল দিতে ব্যর্থ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।কোনও কোনও বিষয় তো হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে।ফলে ক্রমেই পড়াশোনার মান নামতে শুরু করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জানা গিয়েছে, র‌্যাঙ্কিং করার সময় মূলত শিক্ষা এবং শিক্ষণভিত্তিক বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কত জন অধ্যাপক আছেন, কত দিন ধরে আছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা কেমন, কতগুলি প্রকাশনা আছে— সব কিছুর তথ্য নেয় মন্ত্রক। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বিষয়েও তথ্য দিতে হয়। এ ছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, তা হল পড়ুয়ারা কেমন সাফল্য পেয়েছে। অর্থাৎ, বিশ্বভারতী থেকে বেরিয়ে কত সংখ্যক পড়ুয়া কী মাইনের চাকরি পাচ্ছেন সেটাও বিবেচনা হয়। সব থেকে বেশি মাইনে পাওয়া বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী কত জন আছেন, তাঁদের মাইনে কত সব দেখা হয়। পড়ুয়ারা কেমন সুযোগ-সুবিধা পান, এ সব কিছুর উপরে বিচার করেই র‌্যাঙ্ক নির্ধারণ করা হয়।

বিশ্বভারতীর অধ্যাপক, আধিকারিক, কর্মী, পড়ুয়ারা জানালেন, প্রায় তিন বছর বিশ্বভারতীতে কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিলেন না। অস্থায়ী উপাচার্য যাঁরা ছিলেন, আইনি বাধার কারণে অনেক কিছুই তাঁরা করে উঠতে পারেননি। শূন্যপদের পাশাপাশি পদোন্নতিও আটকে ছিল দীর্ঘদিন। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে বিদ্যুৎবাবু যোগ দিলেও পরিস্থিতি যে খুব একটা বদলায়নি, শুক্রবার প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিং তার প্রমাণ।