সংসদ চত্বরে ধরনা-বিক্ষভ নয়! ‘অসংসদীয়’ শব্দের পর এবার নয়া ‘ফরমান’ জারি

0
1

সংসদে ‘অসংসদীয়’ শব্দ তালিকা নিয়ে প্রবল বিতর্কের মাঝেই এবার জারি হল নয়া ফরমান। এবার সংসদ চত্বরে(Outside of parlament) কোনওরকম বিক্ষোভ, ধরনা বা অনশন করতে পারবে না কেউ, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যসভার(Rajyasabha) সচিবালয়। এই নয়া ফরমানে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগে এবার বিরোধীদের(Opposition) প্রতিবাদের(Protest) মঞ্চও কেড়ে নিতে চাইছে ‘স্বৈরাচারী’ সরকার।

শুক্রবার রাজ্যসভার সচিব পি সি মুদি এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংসদদের জানিয়েছেন, কোনও সদস্য আর সংসদ চত্বরে ধরনা, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অনশন বা কোনওরকম ধর্মীয় আচার পালন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে সব সদস্যের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর স্বাভাবিকভাবেই বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে। কারণ, বরাবরই দেখা গিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে সংসদ ভবনকে ব্যবহার করেছে বিরোধীরা। তা সে কৃষি আইন হোক, মূল্যবৃদ্ধি কিংবা ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার। শুধু তাই নয়, ঐতিহাসিক দিক থেকেও অতীতে সংসদভবন চত্বর ব্যবহৃত হয়েছে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে। এবার সেখানে প্রতিবাদ আটকাতে উদ্দ্যত হল সরকার। সংসদের এই নয়া ফরমানে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা জয়রাম রমেশ। এবিষয়ে টুইট করে তিনি লিখেছেন, “এটা বিশ্বগুরুর (পড়ুন মোদির) নতুন ফরমান। ডরনা (ধরনা) মানা হ্যায়…।”

উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জুলাই থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে রাজ্যসভা ও লোকসভাতে বেশকিছু শব্দ প্রয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে লোকসভা সচিবালয়ের তরফে। প্রকাশিত ‘অংসসদীয় শব্দের’ তালিকায় রয়েছে, ‘লজ্জাজনক’, ‘অপব্যবহার’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’ ‘ভণ্ডামি’র মতো বেশ কিছু আপাত নিরীহ শব্দ। সংসদের অধিবেশনে ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘খলিস্তানি’, ‘বিনাশপুরুষ’, ‘জয়চাঁদ’, ‘তানাশাহি’-র মতো শব্দ। এর পাশাপাশি ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘খুন সে ক্ষেতি’ (রক্ত দিয়ে চাষ), ‘স্নুপগেট’-এর মতো শব্দবন্ধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওই তালিকায়। বিরোধীদের কণ্ঠরোধের পর এবার প্রতিবাদের মঞ্চও কেড়ে নিতে ফরমান জারি করল মোদি সরকার।