পঞ্চায়েত নিয়ে রাজ্যকে ক্লিনচিট খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর, মুখ পুড়ল বিজেপির

0
13

পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে বিজেপিকে। তবে রাজ্যে পা রেখে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত দুর্নীতি নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পঞ্চায়েত মন্ত্রকে(Panchayet Ministry) নেই। তৃণমূল(TMC) সরকারকে পঞ্চায়েতীরাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর(Kapil Moreswar) পাটিলের এহেন মন্তব্য যে রাজ্যকে সার্টিফিকেট তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ঘটনায় মুখ পুড়ল দুর্নীতির অভিযোগে সরব হওয়া রাজ্য বিজেপির(BJP)।

বিজেপির (BJP) বুথ সশক্তিকরণের কাজ খতিয়ে বুধবার রাজ্যে এসেছেন পঞ্চায়েতীরাজ রাষ্ট্রমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাটিল। এদিন দক্ষিণ কলকাতায় আয়োজিত বিজেপির অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, বাংলায় পঞ্চায়েত দুর্নীতি নিয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ জানায়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই মন্ত্রীর মন্তব্যে মুখ পুড়ল গেরুয়া শিবিরের। কারণ শুরু থেকেই পঞ্চায়েত দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। যদিও তাঁদের অভিযোগ যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অপপ্রচার তা প্রমাণ হয়ে গেল খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে। তবে দলের মুখ পুড়লেও সাফাই দিতে ছাড়েননি বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ““কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাঁর চেয়ারে থেকে একথা বলেছেন। পঞ্চায়েতে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে জমা পড়ার কথা নয়।”

উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজ, বাংলা আবাস যোজনার মতো প্রকল্পগুলিতে রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে টাকা আটকে দেওয়ার দাবিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তা যে সর্বৈব মিথ্যা তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন অবশ্য এই দুই প্রকল্পের টাকা আটকানো নিয়েও মুখ খুলতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা রাজ্যকে দেওয়া হচ্ছে না। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে একাধিক রাজ্যে নামবদলের অভিযোগ আসছে। সেটা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখনই কিছু বলার সময় আসেনি। তিনি দাবি করেছেন, রাজ্যের ১০০দিনের কাজের টাকা আটকে দেওয়া হয়নি। শুধু স্থগিত করা হয়েছে।