সরকারের বিরোধিতায় সাংসদদের মুখে লাগাম পরাতে তৎপর হয়েছে মোদি সরকার(Modi Govt)। লোকসভা সচিবালয়ের তরফে ‘অসংসদীয় শব্দ’ সংক্রান্ত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে দুর্নীতিগ্রস্ত, অযোগ্য, ভণ্ডামির মতো শব্দগুলিকে ‘অসংসদীয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরই বিরোধিতায় এবার সরব হয়ে উঠলেন রাজ্যসভার তৃণমূল(TMC) সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন(Derek O’Braien)। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দিলেন, বেশ কিছু ‘মৌলিক’ শব্দ এবং শব্দবন্ধকে ‘অংসসদীয়’ হিসেবে চিহ্নিত করে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা তিনি মানবেন না। প্রয়োজনে আসন্ন বাদল অধিবেশন থেকে তাঁকে সাসপেন্ড করারও বার্তা দিয়েছেন ডেরেক।
বৃহস্পতিবার টুইট করে ডেরেক লেখেন, “আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অধিবেশন শুরু হবে। সাংসদদের উপর জারি করা হল তামাশার নির্দেশিকা। এখন, সংসদে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আমাদের এই মৌলিক শব্দগুলি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। আমি লজ্জিত। ‘অপব্যবহার’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘ভণ্ডামি’, ‘অযোগ্য’— আমি এই সব শব্দ ব্যবহার করব। প্রয়োজন হলে আমাকে সাসপেন্ড করুন। গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালিয়ে যাব।”
Session begins in a few days
GAG ORDER ISSUED ON MPs.
Now, we will not be allowed to use these basic words while delivering a speech in #Parliament : Ashamed. Abused. Betrayed. Corrupt. Hypocrisy. Incompetent
I will use all these words. Suspend me. Fighting for democracy https://t.co/ucBD0MIG16
— Derek O’Brien | ডেরেক ও’ব্রায়েন (@derekobrienmp) July 14, 2022
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জুলাই থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে রাজ্যসভা ও লোকসভাতে বেশকিছু শব্দ প্রয়োগের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে লোকসভা সচিবালয়ের তরফে। প্রকাশিত ‘অংসসদীয় শব্দের’ তালিকায় রয়েছে, ‘লজ্জাজনক’, ‘অপব্যবহার’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’ ‘ভণ্ডামি’র মতো বেশ কিছু আপাত নিরীহ শব্দ। সংসদের অধিবেশনে ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘খলিস্তানি’, ‘বিনাশপুরুষ’, ‘জয়চাঁদ’, ‘তানাশাহি’-র মতো শব্দ। এর পাশাপাশি ‘জুমলাবাজি’, ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘খুন সে ক্ষেতি’ (রক্ত দিয়ে চাষ), ‘স্নুপগেট’-এর মতো শব্দবন্ধের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে ওই তালিকায়। উল্লেখ্য, এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে এইসকল শব্দের বেশিরভাগ ব্যবহার করেছে বিরোধীরা। তাতেই লাগাম পরিয়ে এ বার আইনসভার অন্দরেও সমালোচনার কণ্ঠরোধ করতে চাইছে মোদি সরকার, অভিযোগ বিরোধীদের।