ভরা কোটালে ফুঁসছে দিঘার সমুদ্র, জল ঢুকে প্লাবিত তাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা

0
1

পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে রীতিমতো উত্তাল দিঘার সমুদ্র।এই পরিস্থিতিতে কোনও বড় দুর্ঘটনা এড়াতে ওয়াচ টাওয়ার থেকে চালানো হচ্ছে কড়া নজরদারি।পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।পাশাপাশি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর জারি করা  হয়েছে সতর্কবার্তা।

মঙ্গলবার থেকেই উত্তাল দিঘার সমুদ্র। একে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। তারই মধ্যে জলোচ্ছ্বাস। পর্যটকরা রীতিমতো উপভোগ করছিলেন। কিন্তু, পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে রীতিমতো উত্তাল দিঘার (Digha News) সমুদ্র। জল ঢুকে প্লাবিত তাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। তাজপুরের একাধিক গ্রাম ইতিমধ্যে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও বড় দুর্ঘটনা এড়াতে ওয়াচ টাওয়ার থেকে প্রতিনিয়ত চলছে কড়া নজরদারি। পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। পাশাপাশি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে পর্যটকদের সমুদ্র স্নানের উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পর্যটকরা জানিয়েছেন, “গতকাল থেকেই দিঘায় জলোচ্ছ্বাস দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। এই দৃশ্য উপভোগ করছেন পর্যটকরা। কিন্তু, বুধবার সকাল থেকেই সমুদ্রে নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জল অনেক দূর উঠে এসেছে। ফলে  সমুদ্রে নামার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না কেউই।  মনে হচ্ছে সমুদ্র ফুঁসছে। এই পরিস্থিতিতে জলে নামা একেবারেই উচিৎ নয় বলে মনে করছেন প্রত্যেকেই।

আরও পড়ুন – পাহাড়ে চেনা মেজাজে মুখ্যমন্ত্রী, খুদেদের দিলেন মমতাময়ী স্পর্শ

উল্লেখ্য, বুধবার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। এদিকে আগামী ১৩ ও ১৪ জুলাই অর্থাৎ বুধ, বৃহস্পতিবার সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড় বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এই পরিস্থিতিতে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বলে জানানো হচ্ছে।