মুর্মুর বৈঠকে মুখ পুড়ল বিজেপির, অনুপস্থিত একাধিক বিজেপি সাংসদ ও বিধায়ক

0
3

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu) শহরে পা রেখেন। আর মুর্মুর সামনে শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে কার্যত মুখ পুড়ল বঙ্গ বিজেপির(BJP)। খাতায় কলমে বিজেপির (BJP)৭৭ বিধায়কের (MLA) মধ্যে এদিন রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর বৈঠকে যোগ দিলেন মাত্র ৬৫ জন। শুধু তাই নয়, বিধায়কদের পাশাপাশি একাধিক সাংসদও এদিনের বৈঠকে মুর্মুর ধার মাড়ালেন না। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় রীতিমতো লজ্জার মুখে পড়তে হল গেরুয়া শিবিরকে।

সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) বাসভবনে শ্রদ্ধা জানিয়ে মঙ্গলবার সকালে রাজ্যে প্রচার শুরু করেন দ্রৌপদী মুর্মু। এরপর বিজেপির সব বিধায়কও সাংসদদের সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা ছিল তাঁর। আর সেখানেই তাল কাটল। দেখা গেল বৈঠকে অনুপস্থিত রয়েছেন একাধিক বিধায়ক ও সাংসদ। খাতায় কলমে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ জন। তবে তাদের মধ্যে ৭ জন ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাকি ৭০ জনের মধ্যে আমন্ত্রিত ছিলেন ৬৮ জন। বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ীকে অসুস্থতার জন্য এই বৈঠকে ডাকা হয়নি। এবং সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ছেলেকেও বৈঠকে ডাকা হয়নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬৮ জনকেও একজোট  করতে পারল না গেরুয়া শিবির। উপস্থিত হলেন মাত্র ৬৫ জন। এই অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকায় ছিলেন, পাহাড়ের দুই বিধায়ক নীরজ জিম্মা, বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা এবং মতুয়া বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী।

আর এখান থেকেই সন্দেহ উঁকি দিতে শুরু করেছে। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, জিটিএ (GTA) নির্বাচনের পর পাহাড়ে যেভাবে তৃণমূল তথা অনীত থাপার দলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে তাতেই পাহাড়ের দুই বিধায়ক অনুপস্থিত থেকেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। এবং মতুয়া বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরেছেন সিএএ ইস্যুতে। যার জেরেই তাঁর অনুপস্থিতি বলে মনে ওরা হচ্ছে। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু সিং বিস্তা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার অনুপস্থিতি ছিলেন এদিনের বৈঠকে। যার জেরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দ্রৌপদী মুর্মুর সমর্থনে আদৌ সব বিধায়করা ভোট দেবেন কিনা তা নিয়ে।