নিশানায় ছিল ধর্মগুরু, সেনার চাকরি থেকে অবসরে অবসাদ! শিনজোর হত্যাকারীর চাঞ্চল্যকর বয়ান

0
1

জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে জনসভাতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। তাঁর হত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে ৯০ সদস্যের তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে জাপান প্রশাসনের তরফে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারী তেতসুয়া ইয়ামাগামিকে অবশ্য ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর দফায় দফায় তাকে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।

৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইয়ামাগামি স্বীকার করেছেন তার প্রাথমিক নিশানায় ছিলেন না শিনজো। একটি ধর্মীয় সংগঠনের নেতাকেই হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল সে।
যাঁর সঙ্গে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর যোগসূত্র রয়েছে। জাপানে ওই সংগঠনের হয়ে প্রচার করেন শিনজো আবে। আবের নীতি একেবারেই পছন্দ ছিল না ইয়ামাগামির। তাছাড়াও এই ধর্মীয় সংগঠনকে অনুদান দিয়েই দেউলিয়া হয়েছেন তার মা, এমনতাই দাবি হত্যাকারীর।

শিনজো আবের হত্যা রহস্যের জট খুলতে গিয়ে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের সামনে। জানা গিয়েছে, হত্যাকারী ইয়ামাগামির কোনও কাজ ছিল না। বর্তমানে সে বেকার। তবে একটা সময় জাপানের মেরিটাইম সেলফ-ডিফেন্স ফোর্সের (নৌবাহিনীর একটি শাখা) একজন দক্ষ সদস্য ছিল এই আততায়ী। কম বয়সে সেনার চাকরি থেকে অবসর নিতে হওয়ায় পাশাপাশি বেকারত্বের জীবন, অর্থনৈতিক অনটনের মধ্যে দীর্ঘদিন মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে।

গ্রেফতার হওয়ার পর শুক্রবারই তার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে বিস্ফোরক এবং বাড়িতে তৈরি বন্দুক খুঁজে পাওয়া গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, অনেক আগে থেকেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তাই রবিবার হাউস অফ কাউন্সিলর নির্বাচনের আগে শিনজোর বক্তৃতার জায়গা বারবার রেইকি করে ইয়ামাগামি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য নিজেই বানিয়ে ফেলে একটি বন্দুক। একসময়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নেওয়া ইয়ামাগামির পক্ষে কাজটা কঠিন ছিল না। এমনকী, অনেকটা দূরত্ব থেকে শিনজোকে লক্ষ‌্য করে সঠিক নিশানায় গুলি চালানোও সম্ভব হয়েছে তার সামরিক প্রশিক্ষণ থেকেই।