ভূমিসংস্কারের পরবর্তীকালে যে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থা, যার মধ্য দিয়ে গ্রামীণ সমাজের শ্রেণি শক্তির ভারসাম্যের পরিবর্তন ঘটেছে,যা সামন্ততান্ত্রিক সম্পর্ককে দুর্বল করতে সাহায্য করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তার মত, গণতন্ত্রীকরণের যে প্রক্রিয়া, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের যে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে, তা জনগণের হাতে যেমন ক্ষমতা দেওয়া, তাও গণতান্ত্রিক বিপ্লবের মধ্যে পড়ে।’’
ইয়েচুরি বলেন, কমিউনিস্টদের কোণঠাসা করার চক্রান্ত আসলে দেশে কমিউনিস্টদের আরও দুর্বল করার লক্ষ্যেই পরিচালিত আরএসএস-মিশন — সীতারাম ইয়েচুরি তাও স্পষ্ট তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুনঃ অমরনাথের গুহার কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ১০, হড়পা বানে ভেসে গেল পুণ্যার্থীদের বহু তাঁবু
তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে, কীভাবে রাজ্যে কৃষকের জমি দখল হয়েছে, পঞ্চায়েত-পুরসভা একছত্র দখলে চলে গেছে। কীভাবে গণতন্ত্র, মানুষের অধিকার আক্রান্ত, তাও তুলে ধরছেন তিনি। একই সঙ্গে বিজেপি কীভাবে আক্রান্ত মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে, আরএসএস কীভাবে কাজ করছে, চা বাগান, শ্রমিক বস্তিতে কী পরিস্থিতি সেই বিষয়েও আলোকপাত করেন ইয়েচুরি।
আরও পড়ুনঃ অমরনাথের গুহার কাছে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে মৃত ১০, হড়পা বানে ভেসে গেল পুণ্যার্থীদের বহু তাঁবু
অবিভক্ত বাংলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের নানা তথ্য তুলে ধরেন তিনি। তেমনই স্বাধীনতার পথে জাতীয় পর্যায়ে কমিউনিস্টদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি মনে করিয়ে দেন, সূর্য সেনের উত্তরসূরিদের মতো স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার কথা। আবার ৪৩-র মন্বন্তর কিংবা অন্যান্য বিপর্যয়ে কমিউনিস্ট কর্মীরা কিভাবে সেবা কাজে যুক্ত হয়েছেন অতীতে তারও উল্লেখ করেন তিনি। পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি জাতীয় পর্যায়ে, কংগ্রেসের অধিবেশনে কমিউনিস্টদের উত্থাপনের কথা, রশিদ আলি দিবসে উত্তাল বাংলার ছবি যেমন তিনি ছুঁয়ে যান, তেমনই দাঙ্গা, দেশভাগের বেইমানিতে বিধ্বস্ত দেশের যন্ত্রণার বিবরণ তুলে ধরেন।স্বাধীনতার ৭৫ বছরে এভাবেই ইয়েচুরি তাঁর বক্তব্য রাখেন।