শিনজো আবের মৃত্যুকে সমর্থন চিনের! বেজিংয়ের যুক্তিতে বিতর্ক

0
3

সভা চলাকালীন আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে জাপানের(Japan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের(Shinzo Abe)। এমন একজন রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুতে গোটা বিশ্বে যখন শোকের ছায়া ঠিক সেই সময় বিতর্ক বাড়ালো চিন। আবের উপর গুলি চালানোর ঘটনাকে কার্যত সমর্থন করল চিন। জানানো হয়েছে জাপানের বহু মানুষ আবের মতাদর্শের বিরোধী। যদিও চিনের(China) আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে বরাবর সক্রিয় ছিলেন আবে। তাই তাঁর মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে।

শিনজো আবের মৃত্যুর পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে শিয়াং হাওইউ নামের এক গবেষক জানান, শিনজো আবে সবচেয়ে বেশি দিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত ‘অ্যাবেনমিক্স’-এর কারণে দেশে ধনী-দরিদ্রের আর্থিক অবস্থার মধ্যে তফাত বেড়ে যায়। সামরিক ও প্রতিরক্ষা বিভাগেও আমূল পরিবর্তন এনেছিলেন আবে। সব মিলিয়ে দেশবাসী ক্ষুব্ধ ছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপরে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই জাপানে সংসদীয় নির্বাচন। এমতাবস্থায় রাজনৈতিক কারণেও শিনজোকে (Shinzo Abe Death) হত্যা করা হতে পারে বলেও দাবি করেছেন ওই গবেষক।

চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান আবের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান, “আমরা আশা করছি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন।” তবে আবের মৃত্যুর পরে জানা গিয়েছে, চিনের বেশ কিছু জায়গায় সেলিব্রেশন করা হয়েছে। ওই আততায়ীকে নায়কের মর্যাদা দিয়েছে চিনের সাধারণ মানুষ। চিনা সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমস আবের গুলিবিদ্ধ হওয়ার একটি খবর শেয়ার করে সংস্থাটির টুইটারে লেখা হয়েছে, “দীর্ঘতম সময় ধরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শিনজো আবে। তা সত্ত্বেও জাপানে সবসময়ই তাঁর মতাদর্শের বিরোধিতা করা হয়েছে। তাঁর অ্যাবেনমিক্স নীতির ফলে হতাশ ছিল দেশের জনতা।”

প্রসঙ্গত, ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় চিনের আগ্রাসন রুখতে অন্য দেশগুলিকে একত্রিত হতে হবে, সেই কথা শিনজো আবেই জানিয়েছিলেন। ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার অক্ষ কোয়াডের (QUAD) গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। ফলে আবের প্রতি বরাবরই চিনের বিরূপ ধারণা রয়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই আবের মৃত্যুতে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে চিন।